নদী দখলে একাট্টা আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জামায়াত

২০ দখলদারকে দুদকের নোটিশ

কক্সবাজারের বাঁকখালী নদী এখন পরিণত হয়েছে রীতিমতো ছোট খালে। দখলদারদের থাবায় এক সময়ের খরস্রোতা এই নদীর দুই পাড় সংকুচিত হয়ে এখন জীর্ণ দশায় পড়েছে পর্যটন শহরের এই প্রাণ। ভূমিদস্যুদের থাবায় দুই তীরে গড়ে উঠেছে চিংড়ি ঘের, লবণমাঠ, পোল্ট্রি খামার, কারখানা, ঘরবাড়ি-দোকানপাটসহ কয়েকশত স্থাপনা। নদীটিকে আবর্জনার ভাগাড় বানিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন তাদের ওয়েবসাইটে ১০৯ জন দখলদারকে শনাক্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে কক্সবাজার পৌরসভাও। অন্যদিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ১৫৭ প্রভাবশালীসহ ৪২০ জন দখলদারকে চিহ্নিত করেছে।

এতোদিন এদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া না হলেও গত ৭ সেপ্টেম্বর বাঁকখালী নদী দখলের অভিযোগে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও সাবেক এক জামায়াতে ইসলামী নেতাসহ ২০ জনকে নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এতে দেখা যায়, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবর রহমান, বিএনপি কক্সবাজার পৌর বিএনপির সভাপতি রফিকুল হুদা চৌধুরী, সাবেক জামায়াত নেতা জাহাঙ্গীর কাশেম, খালেক চেয়ারম্যান, ছালেহ আহমদ ও ফরিদুল আলমসহ ২০ জনকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন বিষয়টি তদন্ত করছেন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!