প্রথম দফার সাত হাসপাতালের পর কম সময়ে করোনাভাইরাস শনাক্তের এন্টিজেন টেস্টের অনুমতি পেল চট্টগ্রামের আরও সাতটি বেসরকারি হাসপাতাল। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট ১৪টি বেসরকারি হাসপাতাল এন্টিজেন টেস্টের অনুমতি পেল। এন্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে মাত্র ৩০ মিনিটে ফলাফল পাবেন করোনারোগীরা।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) সর্বশেষ অনুমোদন পাওয়া এই সাতটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে— পাহাড়তলীর ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, অক্সিজেন অনন্যা আবাসিক এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতাল, মেহেদিবাগের ম্যাক্স হাসপাতাল, ওআর নিজাম রোডের মেট্রোপলিটন হাসপাতাল লিমিটেড পাঁচলাইশের ইপিক হেলথ কেয়ার, আগ্রাবাদের মেডিকেয়ার মেডিকেল চেকআপ এবং হালিশহরের হিউম্যান ডায়াগনস্টিক এন্ড মেডিকেল চেকআপ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) অনুমোদন পায় তিনটি প্রতিষ্ঠান— চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতাল, পাঁচলাইশ কাতালগঞ্জ রোডের পার্কভিউ ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ডেল্টা হেলথ কেয়ার।
তারও আগে গত ১৮ জুলাই বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে প্রথম এন্টিজেন টেস্টের অনুমোদন পায় চট্টগ্রামের হালিশহরের শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি, ওআর নিজাম রোডের সিএসসিআর লিমিটেড ও মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল এবং পাচঁলাইশ কাতালগঞ্জের ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার।
শর্তানুযায়ী, সরকার অনুমোদিত এন্টিজেন টেস্ট কীট ব্যবহার করতে হবে এসব ল্যাবে। পরীক্ষার সর্বোচ্চ ফি ৭০০ টাকা নিতে হবে। বিশেষক্ষেত্রে বাসা হতে নমুনা সংগ্রহে অতিরিক্ত চার্জ হিসেবে ৫০০ টাকা রাখা যেতে পারে। একই পরিবারের একের অধিক সদস্যের নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রেও একই চার্জের পরিমাণ ৫০০ টাকার অধিক হবে না বলেও উল্লেখ করা হয় অনুমোদনপত্রে।
গত ২০ মার্চ চট্টগ্রামে প্রথম এন্টিজেন টেস্ট কার্যক্রম শুরু হয় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে। এছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ব্র্যাক পরিচালিত কয়েকটি বুথেও এই পরীক্ষা চালু রয়েছে।
এন্টিজেন টেস্ট করার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর কিছু শর্তও আরোপ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর মধ্যে রয়েছে—
১. কোভিড-১৯ এর উপসর্গ/ লক্ষণযুক্ত (সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, মাথা ব্যাথা, নাকে ঘ্রান না পাওয়ায়, মুখে স্বাদ না পাওয়া, ডায়রিয়া ইত্যাদি) ব্যক্তি এবং বিগত ১০ দিনের মধ্যে কোভিড পজিটিভ রোগীর সরাসরি সংস্পর্শে এসেছে তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
২. এন্টিজেন টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ হলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের (DHIS-2) সার্ভারে এন্ট্রি দিতে হবে। লক্ষণযুক্ত ব্যক্তির এন্টিজেন টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ হলে রিপোর্ট না দিয়ে আরটি-পিসিআর ল্যাব হতে টেস্ট করিয়ে নিশ্চিত হতে হবে এবং ওই রিপোর্ট DHIS -2 এন্ট্রি দিতে হবে।
৩. অনুমোদিত কীটের নামসমূহ: Standard Q COVID-19 Ag Test kits- SD BIOSENSOR (South Korea) ও PANBIO (USA).
৪. পরীক্ষার সর্বোচ্চ মূল্য: ৭০০/- (সাতশত টাকা)। বিশেষ ক্ষেত্রে বাসা হতে নমুনা সংগ্রহে অতিরিক্ত চার্জ ৫০০/- (পাচঁশত টাকা) রাখা যেতে পারে। একের অধিক সদস্যের নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রেও চার্জের পরিমাণ ৫০০/- টাকার অধিক হবে না।
৫. রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস শাখা হতে আইডি, পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ফোকাল পার্সন (ডা. অনুপম, এমআইএস, মোবাইল নম্বর- ০১৩২১১৭৩৮৬০। ই-মেইল- dr.anupom@mis.dghs.gov.bd) এর সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেওয়া হলো। এসব প্রতিষ্ঠানের একজন ফোকাল পার্সন থাকবে যিনি মেডিকেল অফিসার সমমর্যাদার হবেন।
৬. সব বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্থানীয় সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের প্রধান (পরিচালক/সিভিল সার্জন/ইউএইচএফপিও) সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেওয়া হলো।
সিপি