নতুন বইয়ের ঘ্রাণে মাতবে শিক্ষার্থীরা

১ জানুয়ারি বই বিতরণ উৎসব

প্রতিবছরের মতো এ বছরের প্রথমদিন প্রতিটি বিদ্যালয়ে ঘটা করে বই বিতরণ করা হবে। শিক্ষার্থীরা দলবেঁধে স্কুলে গিয়ে নতুন বইয়ের ঘ্রাণে মেতে উঠবে। তবে করোনাকালীন এই সময়ে বই উৎসব না করে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে।

তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বছরের শুরুতে নতুন বই হাতে পেলে শিক্ষার্থীদের যে আনন্দ হয়, তা থেকে শিক্ষার্থীরা যেন বঞ্চিত না হয় সে জন্য আমরা বছরের প্রথম দিন থেকেই তাদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছি।’

বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি শের-ই বাংলানগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র মিলনায়তনে যুক্ত হয়ে বই বিতরণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে উন্নত, দারিদ্রমুক্ত করে গড়ে তুলতে চাই। তাই আমরা শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। ২০১০ সালে থেকে আমরা বিনামূলে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছি।’

চলতি শিক্ষাবর্ষে ৩৪ কোটিরও বেশি বই বিতরণ করা হচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতেও আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিচ্ছি, যাতে তারা শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের মাতৃভাষায় বই প্রকাশ করে বিতরণ করছি।’

এছাড়া বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও নির্দিষ্ট সময়ে বই প্রকাশ করে বিতরণ করতে পারাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ দেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ২৩ জন শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী। এদের মধ্যে মাধ্যমিকের ৯ জন এবং প্রাথমিক স্তরের ১৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে এ বছর সব শিক্ষার্থীদের একসঙ্গে বই বিতরণ করা হচ্ছে না। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিনদিন করে মোট ১২ দিনে ষষ্ট থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন বই বিতরণ করা হবে।’

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১ জানুয়ারি) সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বই বিতরণ শুরু হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে তিনদিন করে মোট ১২ দিন ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন বই বিতরণ করা হবে।

করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পয়লা জানুয়ারি বই উৎসব না হলেও বছরের শুরুতেই এসব শিক্ষার্থী বিনামূল্যে বই পাচ্ছে। এবার ছাপা হচ্ছে প্রায় ৩৫ কোটি বই।

এদিকে চট্টগ্রাম জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন বই পৌঁছে গেছে। জেলা ও মহানগরীর সরকারি ২২৬৯টি ও বেসরকারি ৪ হাজার ১৭৫টি বিদ্যালয়ে বই বিতরনের বরাদ্দ ছিল ৪৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৬৫ কপি। গতকাল ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৭ লাখ ১৪ হাজার ৯৩৯ কপি বই পাওয়া গেছে। বাকিগুলো চলে আসবে বলে চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের মনিটরিং অফিসার নূর মোহাম্মদ।

তিনি আরও জানান, আমরা প্রতিটি স্কুলে শিক্ষকদের নির্দেশ দিয়েছি শুক্রবার থেকে বই বিতরণ শুরু হবে।

আইএমই/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!