চট্টগ্রাম নগরের পোর্ট কানেকটিং সড়কের সাগরিকা মোড় থেকে এসি মসজিদ মোড় পর্যন্ত অংশের কাজ পরিদর্শন করেছেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় পিসি রোডের কাজ পরিদর্শনে যান তিনি।
পরিদর্শন শেষে সুজন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্থবির হয়ে থাকা এই সড়কটির কাজে অনেকটাই গতি ফিরেছে। এর মধ্যেই কিছু কাজ দৃশ্যমান হয়েছে। চর জাগার মতো করে এই সড়কটি নতুন করে জেগে উঠছে। ১৫ তারিখের দিকে এই কাজে আরও দৃশ্যমান উন্নতি দেখা যাবে।
তিনি বলেন, পিসি রোডের বেহালদশার কারণে মানুষজনকে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। চট্টগ্রাম নগরীর মধ্যে এই সড়কটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। অথচ কোন অদৃশ্য কারণে এতদিন এই কাজ সম্পন্ন হলো না, জানি না। আমি রাত-দিন এই রাস্তায় থাকব। আমি দেখতে চাই এখানে বাধা কোথায়? যেখানে বাধা-সেখানেই হবে লড়াই।
ঠিকাদাররা এখন একটিভলি কাজ করছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, তিনজন ঠিকাদারের মধ্যে দুজন এখন ফুল স্পিডে কাজ করছেন। একজন এখনো স্লো। তবে উনাকেও আমি সতর্ক করেছি। কিছু লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছি। আশা করছি নভেম্বরের মধ্যে এই সড়কের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে।
চসিক প্রশাসক সুজন বলেন, চসিকের প্রশাসক হওয়ার আগে থেকে এই রাস্তার হালচিত্র আমাকে ব্যথিত করত। তাই দায়িত্ব নেওয়ার পর পোর্ট কানেকটিং সড়কের কাজ তড়িৎ গতিতে সম্পন্ন করার প্রতিজ্ঞা করেছি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের শুরু থেকেই পিসি রোডের নিমতলা থেকে বড়পোল পর্যন্ত অংশের কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় আকারের গর্তের সৃষ্টি হয়।
এরপর সড়কটির নয়াবাজার পর্যন্ত বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই বছরের মাঝামাঝি থেকে সড়কটিতে যান চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
তারপর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে জাইকার অর্থায়নেই সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে।
কয়েক দফায় সময় বাড়িয়ে প্রকল্পটির কাজ চলতি বছরের জুনে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু এরমধ্যেও কাজ শেষ হয়নি।
এদিকে বর্ষায়ও সড়ক নির্মাণের কাজ চলায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা, যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনের চালকরা।
পাঁচ দশমিক সাত কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১২০ ফুট প্রস্থের পিসি রোডটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে প্রায় একশ কোটি টাকা।
প্রকল্পের আওতায় পিসি রোডে নালা, মিডিয়ান ও এলইডি আলোকায়নের কাজও চলমান।
এআরটি/এএইচ