নতুন খাতে রাজস্ব আদায় বাড়াতে চায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। ঢাকা ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মতো ২৬টি খাতে কর আদায় করতে চায় তারা।
এরমধ্যে ২৬টি খাতে কর আদায়ের অভিজ্ঞতা জানতে ঢাকা ও রাজশাহীতে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন সিটি কর্পোরেশন মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
রোববার (২৬ জুন) নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণার সময় এ কথা জানান রেজাউল।
মেয়র রেজাউল বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মাত্র কয়েকটি খাতের ট্যাক্স আদায় করে। নগরবাসীকে উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে হলে সিটি করপোরেশনকে স্বাবলম্বী হতে হবে। যেখানে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের কর আদায়ের হার ৯০ শতাংশের বেশি সেখানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ২০২১-২২ অর্থবছরে এ পর্যন্ত কর আদায়ের পরিমাণ ৪৭ শতাংশ।’
তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের সঠিকভাবে ট্রেড লাইসেন্সের আওতায় আনা গেলে সেটার সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ৪ লাখ। অথচ চসিকের রেজিস্টার অনুযায়ী ট্রেড লাইসেন্সের সংখ্যা মাত্র ৮৫ হাজার। সকল ব্যবসায়ীদের লাইসেন্সের আওতায় আনা গেলে এই খাতে ১০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হবে।’
তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকার বিভাগের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেলে আমদানি ও রপ্তানিকৃত পণ্যের মূল্যের উপর একটি নির্দিষ্ট পরিমান কর সিটি কর্পোরেশন আদায় করতে পারবে। একইভাবে বন্দরের আয় হতে এক শতাংশ সার্ভিস চার্জ আদায়ের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯,এ সংশোধনী বিল আনয়নের জন্য প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ১৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করপোরেশনগুলোর মেয়রদের ঢাকার দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজেদের আয় বাড়িয়ে নিজেদের পায়ের ওপর দাঁড়ানোর চেষ্টা করার তাগিদ দেন। এসময় তিনি চট্টগ্রামের প্রয়াত মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর উদাহরণ দেন। আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন মেয়র থাকাকালীন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে আর্থিক ঘাটতি ছিল না। তার আমলে অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল ছিল বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরএম/এমএফও