নগরে ১০ হাজার পার, চট্টগ্রামে আরও ১২৫ করোনা শনাক্ত

রোগী বেড়েছে উপজেলায়

একটি ল্যাবে নমুনা টেস্ট না হওয়ার পরও চট্টগ্রামে আগেরদিনের চেয়ে নমুনা পরীক্ষা বেড়েছে ১১৬টি। তাতে করে শনাক্তও বেড়েছে আগের দিনের তুলনায় ১৩টি বেশি। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাব ছাড়া নগরের সরকারি-বেসরকারি পাঁচটি ল্যাব এবং কক্সবাজারের একটি ল্যাব মিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৮৭টি নমুনা পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। তাতে নগরের ৮১ জন ও উপজেলার ৪৪ জন মিলিয়ে নতুনভাবে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১২৫ জন। চারদিন পর চট্টগ্রামের উপজেলায় আবারও বড়েছে শনাক্তের সংখ্যা।

সব মিলিয়ে চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত গিয়ে দাঁড়ালো ১৪ হাজার ৩৩৮ জনে। গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রাম নগরে একজন মারা যাওয়ায় করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা এখন ২৩১ জন, যাদের ১৬৩ জন নগরের ও ৬৮ জন উপজেলার। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে আরও ৬৬ জন সুস্থ হওয়ায় এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ২৫৩ জন করোনা রোগী।

শুক্রবার (৩১ জুলাই) সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, চট্টগ্রামের সরকারি তিনটি ও বেসরকারি দুটি ল্যাব এবং কক্সবাজারের একটি ল্যাব মিলিয়ে ৮৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তদের মধ্যে নগরের ৮১ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ৪৪ জন। একইসাথে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা থেকে ৬৬ জন সুস্থ হয়েছেন এবং গত ২৪ ঘণ্টায় নগরের একজন মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-তে বিদেশগামীদের বাধ্যতামূলক করানো করোনা টেস্টসহ দিনের সর্বাধিক ৩৯০ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা করা হয়। তাতে শনাক্ত হয় মাত্র ২১ জন। এর মধ্যে ১৪ জন নগরের ও ৭ জন উপজেলার বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়নি।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে দিনের সর্বাধিক ৩৮ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়, যাদের ২৭ জনই নগরের। বাকি ১১ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৪৬টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয় ২৯ জন, যাদের ১৩ জন নগরের এবং ১৬ জন বিভিন্ন উপজেলার।

অন্যদিকে, বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৪টি করোনার নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ২০ জনের। যাদের ১৭ জনই নগরের, বাকি ৩ জন উপজেলার।

শেভরণ ল্যাবে ৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করেই ১৫ জনের দেহে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যায়। যাদের ১০ জন নগরের ও ৫ জন উপজেলার বাসিন্দা।

এদিন, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৭ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করে ২ জন উপজেলার করোনা রোগী পাওয়া যায়।

উপজেলা পর্যায়ে নতুনভাবে করোনা শনাক্ত ৪৪ জনের মধ্যে তিন দিন পর রাউজানকে শীর্ষস্থান থেকে সরালো ফটিকছড়ি উপজেলা। সেখানে শনাক্ত হয় সর্বাধিক ১১ জন। পার্শ্ববর্তী রাউজান উপজেলায় শনাক্ত হয় ৯ জন। এছাড়া রাঙ্গুনিয়ায় ৭ জন, হাটহাজারীতে ৫ জন, বোয়ালখালী ও সীতাকুণ্ডে ৩ জন করে, লোহাগাড়ায় ২ জন এবং আনোয়ারা, পটিয়া, মিরসরাই ও সন্দ্বীপে ১জন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!