ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ-উত্তাপে সমাপ্ত দীঘিনালার ৩ ইউপির নির্বাচন
ব্যালট পেপার ছিনতাই, কেন্দ্র দখলের চেষ্টা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়েছে দীঘিনালার ৩ ইউপির ভোটগ্রহণ। রোববার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হলেও সকালে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কম। বেলা বড়ার সাথে সাথে দীর্ঘ হয় ভোটরাদের লাইন।
মেরুং ইউপির রসিক নাগার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই মেম্বার প্রার্থী একে অপরের বিরুদ্ধে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা চালায়। এসময় বিজিবি, পুলিশ, র্যাবসহ দায়িত্বরত নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মেরুং ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদা বেগম লাকীর ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় তালা প্রতীকের ইউপি সদস্য প্রার্থীর নির্দেশে এ হামলা বলে অভিযোগ করেছেন তার কর্মী সমর্থকরা।

এদিকে ৩৬নং বাঁচা মরং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট ও ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় সংঘর্ষে ৪ পাহাড়ি ও ৮ বাঙালি আহত হয়। এ ঘটনায় দুপুর ১টা থেকে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
অবরুদ্ধ করে করে রাখা হয় প্রার্থীর এজেন্টকে। উদ্ধার করা হয় ছিনতাই হওয়া, জাল সীল মারা ৭৬টি ব্যালট পেপার।
বাঁচা মরং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আশা আলো চাকমা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করা হয়েছে। তারপরও আমাদের চেষ্টা ছিল সর্বাত্মকভাবে দায়িত্ব পালনের।

প্রশাসনকে জানানোর পর তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় প্রতিস্থিতি অনুকূলে বলে তিনি জানান। এ ঘটনার পর বেলা ১টা থেকে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এছাড়াও কবাখালী, হাসিনসনপুরে ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল আজিজ এর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ব্যস্ত থাকায় মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কেএস