‘বিয়ের প্রলোভনে’ ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার আসামি রাঙামাটির বরকল উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও ভূষণছড়া ইউপির চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মামুনকে (৪০) যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মামলা হওয়ার ১২ দিনের মাথায় তার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নিল সংগঠনটি। তবে মামলার পর থেকেই মামুন গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে আছেন।
বাংলাদেশ যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খাঁন নিখিল স্বাক্ষরিত গত ৫ জুলাই বহিস্কারাদেশের চিঠিতে মামুনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ যুবলীগের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান শেখ ফজলে সামস পরশের নির্দেশে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বরকল উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুনকে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বহিষ্কার করা হলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটি জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ কাজল।
এর আগে গত ২৪ জুন বরকল থানায় ধর্ষিতার বাবা ধর্ষণ মামলাটি দায়ের করেন। পরদিন ২৫ জুন রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে ধর্ষিতা নারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।
তবে মামলা হওয়ার ১২ দিন পার হলেও মামুনকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশের দাবি, ‘মামুনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে’।
বরকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আসামি মামুন চেয়ারম্যান পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করতে খুঁজছে পুলিশ’।
এএইচ