ধর্মঘট কেটেছে, কিন্তু মানুষ জিম্মির এই খেলা কবে থামবে?
ছবির গ্যালারি
নতুন সড়ক আইন বাতিলের দাবিতে আচমকা ধর্মঘটের ডাক দেয় ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক- শ্রমিকরা। এ সময় চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন পরিবহন থামিয়ে চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে আন্দোলনরত শ্রমিকরা। এতে প্রভাব পড়ে গণপরিবহনে। অন্তহীন দুর্ভোগে পড়ে বিভিন্ন কাজে বের হওয়া সাধারণ মানুষ। সরেজমিনে দেখা যায়, বাস, সিএনজি ও প্রাইভেট পরিবহন রাস্তায় নামলেই বাধা সৃষ্টি করছিল পরিবহন শ্রমিকরা। ফলে বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলনে দুপুর না গড়াতেই সকল সড়ক যানবাহন শূন্য হয়ে পড়ে। দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে সাধারণ মানুষকে পৌঁছাতে হয় গন্তব্যে। বুধবার সারাদিন চট্টগ্রাম মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলো ঘুরে ছবিগুলো তুলেছেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনের আলোকচিত্রী।
বুধবার (২০ নভেম্বর) রাত নয়টায় ঢাকার ধানমণ্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতে টানা চার ঘন্টার বৈঠকে দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে ট্রাক মালিক-শ্রমিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে। ওই বৈঠকের শেষ দিকে ট্রাক ও কভার্ড ভ্যান মালিকদের তোলা নয়টি দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বিবেচনার আশ্বাস দিলে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন চালক-শ্রমিক নেতারা।
ধর্মঘট প্রত্যাহার হয়েছে ঠিক, কিন্তু কথায় কথায় সাধারণ মানুষকে জিম্মি করার এই প্রবণতা কবে থামবে— এ প্রশ্ন এখন সবার মুখেই।