দ্রুততম সময়ে দারিদ্র্য হ্রাসকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে: অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সূচক অনুসারে, দ্রুততম সময়ে দারিদ্র্য হ্রাসকারী দেশগুলোর মধ্যেও বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। চলতি বছরের বিশ্ব অর্থনীতির বড় সূচকগুলোয় একে একে প্রশংসনীয় অবস্থানে চলে এসেছি আমরা। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) ২০১৯ ডেভেলপমেন্ট আউটলুক অনুসারে, উচ্চ প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ৪৫টি দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ।’

বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আতাউর রহমান খান কায়সারের নবম মৃত্যুবার্ষিকীর সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন,‘ ২০১৯-২০ অর্থ-বছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এডিবি। বাংলাদেশ এশীয় প্যাসিফিক অঞ্চলে দ্রুততম প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রাখবে। স্পেক্টেটর ইনডেক্স ২০১৯ অনুযায়ী, গত ১০ বছরে মোট ২৬টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সর্বোচ্চ। আমরা জাতির পিতার স্বপ্ন, অর্থনৈতিক মুক্তির কাজটি করার জন্য আমরা বেঁচে আছি। আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী অনুপ্রাণিত করছেন আমাদের।’

চট্টগ্রামের প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান খান কায়সারের স্মৃতিচারণ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, তিনি একজন অকুতোভয় নিবেদিত প্রাণ, প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবিদ ছিলেন। বঙ্গবন্ধু দেশ ও জনগণের স্বার্থে ৭১-এর নির্বাচনে কিছু বাস্তব সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই সিদ্ধান্তের ফলে কিছু প্রথিতযশা পরিবারের সন্তানরা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এসেছিলেন। তারা বিশ্বস্ত থেকে দলের জন্য অশেষ অবদান রেখেছেন, সফল হয়েছেন, আওয়ামী রাজনীতিকে পরিপূর্ণতা এনেছেন। জনমনে তারা অমর হয়ে রয়েছেন। আতাউর রহমান খান কায়সার তাদেরই একজন ।

তিনি আরও বলেন,আতাউর রহমান কায়সার ভাই একজন ক্রীড়াবিদ, একজন সংস্কৃতি সেবক ও কবি ছিলেন। চট্টগ্রামে সাহিত্য সংস্কৃতি অঙ্গনে তার প্রশংসনীয় বিচরণ ছিল। রাজনীতিতে তিনি অনুসরণীয় একজন ব্যক্তিত্ব, দেশ ও জাতি গঠনের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে অগ্রসেনানী। দেশপ্রিয় আতাউর রহমান খান কায়সার রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসে একজন বলিষ্ঠ অভিযাত্রী। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তাঁর অবদান ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয়, বরণীয় ও অনুসরণীয় ইতিহাস হয়ে থাকবে। তার আদর্শ আমাদের সকলকে অনুপ্রাণিত করে, সামনে এগিয়ে যেতে পাথেয় হিসাবে কাজ করবে।

নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, পৃথিবীতে এমন কোনো বড়ি নেই যা খেলে রাজনীতিবিদ হওয়া যায়। অনেক কথা টিভি পর্দায় বলা যায় না। আমরা যদি প্রয়াত নেতাদের স্মরণসভায় স্মৃতিচারণ শুনি, বঙ্গবন্ধুর বই ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ পড়ি তবে আদর্শ শিখতে পারি। ইঞ্চি ইঞ্চি করে শেখ হাসিনার যে অর্জন আমরা নেতা-কর্মীরা তা মাইলের পর মাইল ধ্বংস করছি। আমরা পাষাণ হয়ে যাচ্ছি। ফেসবুকে আমাদের প্রান্তিক কর্মীরা চমৎকার বলেন, ‘নেতারা রাজনীতি করছে কামানোর জন্য, কর্মীরা খরচ করছে দল টিকিয়ে রাখার জন্য।’

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নইমউদ্দিন চৌধুরী, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন বাচ্চু, উত্তর জেলা সাধারণ সম্পাদক এমএ সালাম, যুগ্ম সম্পাদক বদিউল আলম, দক্ষিণ জেলা সহ-সভাপতি মো. ইদ্রিস, উত্তর জেলা যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। পরিবারের পক্ষে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খান।

এডি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!