দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে হাতির, গায়ে আগুন দিতে গেলে পিষে মারলো দুজনকে

গ্রামের পথ ধরে এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে যাচ্ছিল হাতির দল। রাত তখন প্রায় ১টা। স্থানীয়রা জানতে পেরে ঘিরে ধরে তাদের। তাড়া করার পাশাপাশি হাতির গায়ে দেওয়ার চেষ্টা করে আগুনও। আত্মরক্ষার্থে হাতিগুলো উল্টো ধাওয়া দেয় স্থানীয়দের। হাতির আক্রমণে আহত হয়ে মারা যায় দুজন। আহতও হন একজন।

এ ঘটনা বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায়। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের কোনা পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল সোবহানের ছেলে মনসুর আলম (১৭) ও মান্নান মেম্বার পাড়ার মো. হোসেনের ছেলে নুরুল কবির (১৮)। আহত হয়েছেন হাফেজ নুর ইসলামের ছেলে জোবাইর।

পুলিশ জানায়, মেরাইথং পাহাড় থেকে নেমে কোনাপাড়া, ফুটেরঝিরি মান্নান মেম্বার পাড়া হয়ে হাতিগুলো পাহাড়ে চলে যেতে চাইলে স্থানীয়রা তাদের ঘিরে ফেলে। এ সময় আগুন নিয়ে পিছনে ছুটে হাতির গায়ে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে স্থানীয়রা। এ সময় হাতিগুলো আক্রমণ করলে মনসুর আলম আহত হন। পরে তাকে লামা হাসাপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া হুমায়ুন কবির হাতির সামনে পড়ে গেলে হাতির আক্রমণে আহত হন। চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

তৈন রেঞ্জ কর্মকর্তারা জানান, হাতিগুলো লোকালয়ে চলে আসলে স্থানীয় ও বনবিভাগ যৌথভাবে বেশ কয়েকবার তাড়িয়ে পাহাড়ের দিকে পাঠানোর চেষ্টা করে।

তিনি আরও বলেন, ‘বন্য হাতির চলাচলের রাস্তায় স্থানীয়দের বাধা সৃষ্টি না করতে বলা হয়েছে। এছাড়া হাতির পিছু না নেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে। স্থানীয়রা এ নির্দেশনা মানছে না। বরং হাতির গায়ে আগুনসহ বিভিন্ন ভাবে আঘাত করার চেষ্টা করায় হতাহতের ঘটনা ঘটছে।’

চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফেরদৌস রহমান বলেন, ‘নিহত ও আহত পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে।’

এদিকে গত ২৭ ডিসেম্বর রুপসীপাড়া পাড়া হয়ে মান্নান মেম্বার পাড়া চলে আসে হাতির দল। পরে বনবিভাগ ও স্থানীয় লোকজন তাড়ানোর চেষ্টা করলে মেরাইথং পাহাড়ের দিকে চলে যায় তারা। গতকাল মেরাইথং হয়ে রুপসীপাড়া পাহাড়ে যাওয়ার পথে বাধা দিলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!