স্পট নন্দনকানন রোড/ দেয়ালে সতর্কবাণী, সড়কে ময়লার স্তুপ!

চট্টগ্রাম নগরীর নন্দনকানন রোডের শাহ আলী মার্কেট ও ফয়েজ ইলেক্ট্রনিক মার্কেটের সামনে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে লেখা রয়েছে ‘ময়লা ফেলা সম্পূর্ণ নিষেধ’, এলাকাটিতে আছে সি সি ক্যামেরাও। অথচ পাশেই খোলা আবর্জনার স্তুপ! ওই জায়গায় পঁচা- বাসি কাঁচা তরকারি, বিভিন্ন ফলমূলের খোসা, রাস্তার আবর্জনা সব ধরনের ময়লায় ভর্তি। যেখানে আবর্জনায় ভরপুর তার পাশেই অপর্ণাচরণ সিটি কর্পোরেশন স্কুল এণ্ড কলেজ, কৃষ্ণকুমারী সিটি কর্পোরেশন স্কুল এবং ফয়েজ ইলেক্ট্রনিক মার্কেট।

কেবল চসিকের নজরদারি নেই বলেই এমন হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘১০ মাস পূর্বে অভিযোগ করলেও এখনো কোন প্রতিকার পাইনি।’

ফয়েজ ইলেক্ট্রনিক্স মার্কেটের ব্যবসায়ীরা ক্ষোভের সাথে বলেন, এই রাস্তাটি প্রতিদিনই ময়লায় ভরে থাকে। বড় বড় স্তুপ তেকে দুর্গন্ধ বের হয়। বৃষ্টির সময় ময়লাগুলো ছড়িয়ে আরো বীভৎস অবস্থা হয় সড়কের।

ব্যবসায়ীরা জানান, তরকারি বিক্রেতাসহ অন্যদের বারবার নিষেধ করার পরও এখানে ময়লা ফেলে যায় প্রতিনিয়ত। এখানে কাউন্সিলর সেলিম উল্লাহ বাচ্চুর দেওয়া সাইনবোর্ডে ময়লা ফেলার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কেউ সেগুলো মানে না। এছাড়া আমরা সকলে মিলে ৮-৯ মাস পূর্বে চসিকে অভিযোগ করি। কিন্তু তারপরও আশানরূপ ফল পাইনি। বরং পূর্বের চেয়ে আবর্জনা এখন আরো অনেক বেশি ফেলে।

স্থানীয়রা বলেন, এই এলাকায় নির্দিষ্ট কোনো ডাস্টবিন না থাকায় আমাদের বাধ্য হয়েই এখানে ময়লা ফেলতে হচ্ছে । এই রাস্তা দিয়ে হাটার সময় নাকে হাত দিয়ে হাটতে হয় ময়লা এবং প্রস্রাবের তীব্র গন্ধে খুব অস্বস্তি নিয়ে চলাচল করতে হয়। তাও আমাদের এখানেই ময়লা ফেলতে হচ্ছে। চসিক আমাদের নির্দিষ্ট কোন ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করে দিলে সবাই উপকৃত হব।

স্কুল শিক্ষার্থীরা জানায়, এদিকে এলে দুর্গন্ধের কারণে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। ক্লাসে সারাক্ষণ বমি পায়।

আবর্জনার গণভোগান্তির কথা স্বীকার করে কাউন্সিলর সেলিম উল্লাহ বাচ্চু বলেন, ‘আমি এই বিজ্ঞপ্তিটি প্রায় ১বছর আগে দিয়েছি। তারপরও কেউ এটা মানছে না। এরপর আমি অনেকবার নিজে দাঁড়িয়ে থেকে লোক লাগিয়ে ছোটো ছোটো ট্রলি দিয়ে ময়লা পরিষ্কার করিয়েছি। আমাদের পরিস্কার করার পরেও আবারও ময়লার ফেলে স্তুপের করে রাখছে। বারবার একই ঘটনা ঘটবে যতক্ষণ পর্যন্ত এলাকাবাসী সচেতন না হবে। ততক্ষণ কিছুই শৃঙ্খলার মধ্যে আসবে না। আমি এবং আপনারা মানে এলাকাবাসী এক হলেই দেশ, সমাজ ও এলাকা উন্নত হবে। ’

সি সি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত থাকা সত্ত্বেও তাদের চিহ্নিত করা যাচ্ছে না কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ ময়লাগুলো রাতে আধারে ফেলে যায় যার কারণে অন্ধকারে সিসি ক্যামেরায কে বা কারা ফেলে যায় তা দেখা যায় না। ’
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শৈবাল দাশ সুমন বলেন, আগে কাঁচাবাজারের লোকেরা তরকারির পঁচা ও উচ্ছিষ্ট অংশ ইত্যাদি ফেলে অনেক বিশাল স্তুপ করে ফেলতো। এখন আগের মতো তেমন ময়লা জমে না। তাছাড়া আমাদের পক্ষ থেকে ২টি ময়লার গাড়ি দেওয়া আছে। ওই গাড়ির মাধ্যমেই ওই খানকার ময়লা পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু এর মধ্যে ২/১ দিন আমাদের অসতর্কতার কারণে আবার ময়লা জমে গেছে। এ বিষয়টি নিয়ে আজই আমি কাউন্সিলর সলিমুল্লাহ বাচ্চুর সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এনজে/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!