দেড়শ কেজির হাঙ্গর কেটে বিক্রি সন্দ্বীপে

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার মেঘনা নদীতে ধরা পড়া ১৫০ কেজি ওজনের একটি হাঙর কেটে বিক্রি করেছেন মাছ ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার হরিশপুর ২ নম্বর ঘাটে জেলেরা মাছটি আনার পরপরই স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীরা এটি ৪৫ হাজার টাকায় কিনে নেন। মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই মাছটি বিক্রি হয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সন্দ্বীপ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা এমদাদুল হক। তিনি বলেন, আজ সকালে জেলেদের জালে ১৫০ কেজি ওজনের হাঙরটি ধরা পড়ে। পরে হাঙরটি কেটে বিক্রি করে দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন, ২০১২ অনুসারে যেকোনো প্রজাতির হাঙর নিধন নিষিদ্ধ। তবে কার জালে ধরা পড়েছে এবং এটি কারা কিনেছেন, তা জানা যায়নি।

এমদাদুল হক বলেন, এর আগে ৩ জানুয়ারি সন্দ্বীপ চ্যানেলে একটি ২০০ কেজি ওজনের বিশালাকৃতির শাপলাপাতা (শংকর) মাছ ধরা পড়ে। পরে সেটিকে ৪২ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। এই বিষয়গুলো তদারকির দায়িত্ব বন বিভাগের বন্য প্রাণী অধিদপ্তরের।

মৎস্য বিভাগে কর্মরত একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাঙর, শাপলাপাতা মাছ, ডলফিনসহ বিলুপ্ত প্রজাতির প্রাণীদের সংরক্ষণের দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বন বিভাগকে। কিন্তু তাদের কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। ফলে এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ হচ্ছে না। এসব ক্ষেত্রে মৎস্য বিভাগের পক্ষে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয় না।

বন্য প্রাণী সংরক্ষণ বিভাগ চট্টগ্রামের রেঞ্জ কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন বলেন, শাপলাপাতা মাছ ও হাঙর ধরা সম্পূর্ণ বেআইনি। কেউ এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ চট্টগ্রামের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, শাপলাপাতা মাছ ও হাঙর ধরার বিষয়টি তিনি জানতেন না। কারণ, উপকূলীয় অঞ্চলে তাঁদের কোনো কার্যালয় নেই।

তবে তাঁদের এসব বিষয়ে সহযোগিতা করা কথা উপকূলীয় বন বিভাগের। তারাও বিষয়টি জানায়নি। তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে জানাবেন। এ ছাড়া এ ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে উপজেলা প্রশাসন চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে পারেন।

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!