বাংলাদেশ এখন ক্ষুধা ও দরিদ্রতামুক্ত। বাংলাদেশে এখন ‘বাধ্য হয়ে’ ভিক্ষাবৃত্তি করা লোকের সংখ্যাও অনেকাংশে কমে গেছে।
শনিবার (২০ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে তথ্যমন্ত্রীর ঐচ্ছিক তহবিল থেকে আর্থিক অনুদান এবং এডিপির অর্থায়নে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ দাবি করেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। আমরা ইতিমধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত করতে পেরেছি। দরিদ্রতা আছে তবে ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ রচনা করতে পেরেছি। যেহেতু দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে, বাংলাদেশ এখন খাদ্য রপ্তানির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। দেশের মানুষকে খাবার দেবার পরও খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকছে। সেজন্য আমরা বলতে পারি বাংলাদেশ এখন ক্ষুধামুক্ত।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে যে পরিমাণ ভিক্ষুক আছে তারা এখন আর মানুষের দরজায় গিয়ে বাসি ভাত খোঁজে না। বাসি ভাত খোঁজার ডাক এখন আর বাংলাদেশের কোথাও শোনা যায় না। কারণ ভাতের সমস্যা আমরা সমাধান করতে পেরেছি।’
এ সময় মন্ত্রী বন্যাসহ বিভিন্ন দুর্যোগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতাদের দুর্গত মানুষের পাশে থাকার আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, ‘পাঁচ বছর ধরে যারা সাধারণ মানুষের খোঁজ খবর না রেখে শুধু ভোটের আগে এসে রাজনীতি করেন, তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।’
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খলিলুর রহমান চৌধুরী।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম, মনোয়ারা বেগম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) পূর্বিতা চাকমা, সাদেকুর নূর সিকদার, পৌর মেয়র শাহজাহান সিকদার, ইঞ্জিনিয়ার সামশুল আলাম, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, জসিম উদ্দিন তালুকদার প্রমুখ।
এসএস