দেশের ব্যাংকে আবার হ্যাকার গ্রুপের হামলার আভাস, এটিএম বুথে জরুরি সতর্কতা

নতুন করে সাইবার হামলার আভাস পেয়ে দেশের ব্যাংকগুলোর এটিএম বুথ ও অনলাইন লেনদেনে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। হ্যাকারদের সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে অনেক ব্যাংক ইতিমধ্যে এটিএম বুথ রেখে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা শুরু করেছে।

সাইবার হামলার আভাস পেয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে দেশের সবগুলো ব্যাংককে জরুরি চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, উত্তর কোরিয়াভিত্তিক হ্যাকার গ্রুপ ‘বিগল বয়েজ’ ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির সঙ্গে জড়িত ছিল। তারা আবার বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন ও সুইফট নেটওয়ার্কে হ্যাকিং বা অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে পারে।

জরুরি এই চিঠি পাওয়ার পরই অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থায় নজরদারি ও নিরাপত্তা বাড়িয়েছে ব্যাংকগুলো। পূর্ব সতর্কতা হিসেবে রূপালী ব্যাংক ইতিমধ্যে রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত এটিএম বুথ বন্ধ রাখছে।

এর আগে গত আগস্টে দেশের ব্যাংকগুলোর অনলাইন সিস্টেমে ভাইরাসবাহী বিশেষ ধরনের ম্যালওয়্যার সফটওয়্যারের প্রথম খোঁজ পায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের প্রকৌশলীরা। এর পরপরই বিষয়টি জানানো হয় সরকারের উচ্চমহলে। খবর পেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গত ২৭ আগস্ট দ্রুত বিষয়টি জানিয়ে নির্দেশনা পাঠায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে।

এর পরপরই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো অনলাইন ব্যাংকিং সেবা সীমিত করা ছাড়াও বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন পরিস্থিতিতে আলাদা করে নজরদারি শুরু করে। কোনো কোনো ব্যাংক তাদের নিজস্ব কার্ড ছাড়া অন্য ব্যাংকের কার্ড বা আন্তর্জাতিক কার্ডের লেনদেনও স্থগিত রাখে।

তারও আগে একই ধরনের সাইবার হামলা চালিয়ে ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের বিপুল পরিমাণ অর্থ চুরি করা হয়েছিল। ওই সময় আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমসের নিউইয়র্ক শাখায় থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার বা ৬৮০ কোটি টাকা চুরি হয়।

আলোড়ন তোলা সেই হ্যাকিংয়ে ভাইরাসবাহী যে ধরনের ম্যালওয়্যার সফটওয়্যার ব্যবহার করে টাকা চুরি হয়েছিল, গত আগস্টে কোনো কোনো ব্যাংকের অনলাইন সিস্টেমে ওই ম্যালওয়্যার সফটওয়্যারের অস্তিত্ব খুঁজে পায় বাংলাদেশ ব্যাংক।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!