দেশজুড়ে আবার বন্ধ ফেসবুক-মেসেঞ্জার-হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম

দেশে আবার ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকারি একটি সংস্থা। রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রোববার (৪ আগস্ট) থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় রোববার দুপুর ২টা পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জে দুজন, রংপুরে একজন ও মাগুরায় একজনসহ অন্তত চারজনের নিহত হয়েছেন।

এমন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে মোবাইল অপারেটরগুলোকে ফোর-জি ইন্টারনেট সেবা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুপুরে ১টার দিকে আইআইজি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রামের ক্যাশ সার্ভার বন্ধের জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ অবস্থায় শুধু টু-জির মাধ্যমে কথা বলা যাবে।

এর আগে সরকারি নির্দেশে গত ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট ও ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এর পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই সীমিত আকারে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ চালু করা হয়। ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয় ১০ দিন পর। তবে ওই সময়ও ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম এবং টিকটক বন্ধ রাখা হয়। ইউটিউব চালু ছিল শুধু ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে।

৩১ জুলাই বেলা ২টার পর থেকে বাংলাদেশে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো চালু করা হয়। এর মধ্যে গত শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১২টার পর মোবাইল নেটওয়ার্কে আবার ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি টেলিগ্রামও বন্ধ করে দেওয়া হয়। সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার পর সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলো আবার চালু করা হয়।