অবশেষে চট্টগ্রামের উন্নয়নে একসঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কর্মকাণ্ড পরিচালনায় একমত হয়েছে চট্টগ্রামের অন্যতম প্রধান দুই সেবা সংস্থা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।
মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষের সঙ্গে চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের এক বৈঠকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
বৈঠকে সিডিএ ছাড়াও চট্টগ্রামের ২৩ সেবা সংস্থার প্রধানকে নিয়ে সমন্বয় কমিটি করে নগরের উন্নয়নকাজ এগিয়ে নেওয়ার কথাও বলেন চসিক প্রশাসক সুজন। এছাড়া বর্তমানে এসব সেবা সংস্থার মধ্যে দূরত্ব রয়েছে উল্লেখ করে এই দূরত্ব কমাতে প্রতিমাসে ২৩ সংস্থার প্রধানকে নিয়ে একটি বৈঠকের ব্যবস্থা করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সিডিএ ভবনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে চসিক প্রশাসক সুজনই প্রথম দুই সংস্থা পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে তাগিদ দেন। এর জবাবে সায় দিয়ে সিডিএ চেয়ারম্যান দোভাষ সমন্বয় থাকলে সংকট হবে না বলে মত দেন।
বৈঠকে চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘চট্টগ্রামের উন্নয়নের ক্ষেত্রে যেখানে সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা থাকবে, পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে সমাধান নিশ্চিত করতে হবে। এতে শুধু চট্টগ্রাম নয়, সারা বাংলাদেশ উপকৃত হবে। নগরীকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে উন্নয়ন, আর্থ-সামাজিক কল্যাণ ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাকে এক ও অভিন্ন লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
নগরের উন্নয়নে সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে জোর দিয়ে সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে পারস্পরিক সমন্বয় ও সহযোগিতাকে গুরুত্ব দিই। আমরা যদি আন্তরিক হই, তাহলে সমন্বয়ের ক্ষেত্রে কোনো সংকট থাকবে না। নাগরিক দুর্ভোগ যাতে না হয়, সেজন্য আমাদের মধ্যে সমন্বয় থাকা দরকার।’
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিডিএ’র সচিব মোহম্মদ সাইফুল আলম চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস্, চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, সিডিএ’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এএএম হাবিবুর রহমান।
প্রসঙ্গত, গত মেয়াদে চট্টগ্রামের প্রধান এই দুই সেবা সংস্থার মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছিল। দুই সেবা সংস্থার সেই বিরোধের কারণে নাগরিকদের পড়তে হয়েছে সীমাহীন দুর্ভোগে। নানান সমালোচনার মুখে আগেও বিভিন্ন সময়ে এই দুই সংস্থার পক্ষ থেকে সমন্বয় করে কাজ করার ঘোষণা দেওয়া হলেও তা শুধু ঘোষণাতেই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে গত বছর সিডিএর চেয়ারম্যান পদে আব্দুচ ছালামের পরিবর্তে জহিরুল আলম দোভাষকে দায়িত্ব দেওয়া হলে পরিস্থিতি খানিকটা বদলায়।
এআরটি/এএইচ