চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী জেবুন্নেসা আক্তারকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালত। তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ থেকে অন্তত দেড় হাজার কোটি টাকা দুবাইয়ে পাচার করার অভিযোগ রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এই দুজনকে ফিরিয়ে আনতে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক মুজাহিদুর রহমান।
মোহাম্মদ আলী চট্টগ্রামভিত্তিক ইমাম গ্রুপের চেয়ারম্যান। ‘ব্ল্যাকার’ মোহাম্মদ আলী নামে পরিচিত এই ব্যবসায়ী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যাংকের ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণখেলাপের অভিযোগে চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালত ১৫টি মামলা রয়েছে। প্রায় ১১ বছর ধরে এসব মামলা চলছে। এর মধ্যে আইএফআইসি, ন্যাশনাল, জনতা ও অগ্রণীসহ পাঁচটি ব্যাংক তাদের কাছ থেকে পাবে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা।
ঋণখেলাপি মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী জেবুন্নেসা আক্তার গোল্ডেন ভিসা নিয়ে দুবাইয়ে বসবাস করছেন। সেখানে তারা বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগও করেছেন।
আদেশে বিচারকও বলেন, দেশের অর্থ পাচার করে দুবাইয়ে বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী জেবুন্নেসা আক্তার।
বিচারক একইসঙ্গে গত বছরের ২১ মে দেওয়া আদেশে তাদের ফিরিয়ে আনতে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন।
গত বছরের নভেম্বরেও যমুনা ব্যাংকের ৯ কোটি টাকার একটি চেক প্রতারণা মামলায় ইমাম ডাইয়িং নিটিং প্রিন্টিং এন্ড ফিনিশিং ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলীকে এক বছরের কারাদণ্ড ও চেকের সমপরিমাণ জরিমানা করেন আদালত।
একসময় ন্যাশনাল ক্রেডিট এন্ড কমার্স ব্যাংকের (এনসিসি) পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন মোহাম্মদ আলী। এই পরিচয়ে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে সহজেই ঋণ সুবিধা নিতেন তিনি। পরে ব্যাংকে তার শেয়ারের পরিমাণ ২ শতাংশের নিচে নেমে যাওয়া এবং বিভিন্ন ব্যাংকে ঋণখেলাপি হয়ে পড়ায় এনসিসির পর্ষদ থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়।
সিপি