দুবাইয়ের হোটেলে আওয়ামী লীগ নেতা ‘বিড়ি লিটনে’র ভাইয়ের লাশ, গলায় দড়ি

চট্টগ্রাম সিটির সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুস সবুর লিটনের ছোট ভাই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল মান্নান খোকন তারা আরব আমিরাতের দুবাইয়ে হোটেল কক্ষে আত্মহত্যা করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে আরব আমিরাতের দুবাইয়ের একটি হোটেলে এই ঘটনা ঘটেছে।

আত্মঘাতী আব্দুল মান্নান খোকন চট্টগ্রাম মহানগরের হালিশহর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সমন্বয়ক ছিলেন। তার বড় ভাই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুস সবুর লিটনের প্রভাবে এই পদ পেয়েছিলেন বলে গুঞ্জন ছিল।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার পর লিটন ও খোকন দুজনেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। সেই থেকে তারা দুবাইয়ে আছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নকল সিগারেটের ব্যান্ডরোলের ব্যবসায় আবদুস সবুর লিটনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন ছোট ভাই খোকনও। তাদের বিরুদ্ধে নকল সিগারেট বাজারজাত করা, নিষিদ্ধ ব্যান্ডরোল আমদানি, শুল্ক ফাঁকি দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেলও এই নকল ব্যান্ডরোলের ব্যবসার ভাগ পেতেন বলে জানা গেছে।

২০২৩ সালের ২৮ মে চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানার সরাইপাড়া নয়াবাজার মুজিবুর রহমান প্লাজার সামনে খুন হন আজাদুর রহমান আজাদ নামে এক যুবক। এই খুনে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবদুল মান্নান খোকনের সম্পৃক্ততা পায় নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তার বাসায় বসে আজাদকে হত্যার পরিকল্পনা হয় বলে পুলিশ জানায়। পরিবারের অভিযোগ, চাঁদা নিতে বাঁধা দেওয়ায় সাবেক কাউন্সিলর আবদুস সবুর লিটনের ছোট ভাই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল মান্নান খোকন তারার অনুসারীরা তাকে খুন করেছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm