দুদিনে দুবার হানা, তবুও ‘কিছুই মিলেনি’ খুলশীর গেস্ট হাউজে

0

চট্টগ্রামের একটি গেস্ট হাউজে অল্প সময়ের ব্যবধানে দুইবার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। তবে, দুইবার অভিযান চালিয়েও এ গেস্ট হাউজ থেকে কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, পুলিশের অভিযানের খবর পেয়েই সটকে পড়ে গেস্ট হাউজের মালিক ও পতিতারা।

শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের খুলশী থানাধীন হাবিব লেনে আলম গেস্ট হাউজে অভিযান পরিচালনা করে খুলশী থানা পুলিশ। এর আগে শুক্রবার রাতেও একদফা অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে রাতের অভিযানের পর গেস্ট হাউজে কলাপসিবল গেট বন্ধ করে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়।

খুলশীতে এটি ছাড়াও অসংখ্য গেস্ট হাউজ ও নাইট ক্লাবে অবৈধ দেহব্যবসা চালিয়ে আসছে একটি চক্র। পুলিশ মাঝেমধ্যে এসব গেস্ট হাউজ ও নাইট ক্লাবে অভিযান চালালেও এর মূল হোতারা থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। আবার পুলিশের সাথে তাদের সখ্যতার অভিযোগও বিস্তর। যার কারণে, অভিযানের আগেই খবর পেয়ে যায় অপরাধীরা। আর সুযোগ পায় পালিয়ে যাওয়ার।

s alam president – mobile

জানা যায়, করোনার প্রকোপ শুরুর সময় থেকে খুলশীর আলোচিত আলমের গেস্ট হাউজ তালাবদ্ধ ছিল। ১ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে আবারো চালু করা হয় এই গেস্ট হাউস।

অভিযোগ রয়েছে, ৫ তলা ভবনের এ মধুকুঞ্জের পুরোটাই রাতভর মুখরিত থাকে মধুবালাদের উপস্থিতিতে। এখানে আসা যাওয়া করেন নানা বয়সের নানা পেশার পুরুষ। শুধু দেহব্যবসা নয়, বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের এখানে এনে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া হয় টাকাপয়সা।

সূত্র জানায়, আলম গেস্ট হাউজ বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে আস্তে আস্তে আবার ডাল পালা ছড়ানোর চেষ্টা করে। পুলিশের উপস্থিতি জানান দিতে গলির মুখ থাকে বেতনভুক্ত ইনফর্মার। ফলে আইনশৃংখলা বাহিনী আসার পূর্বেই সটকে পরে ভেতরে থাকা লোকজন। অনেক সময় বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়, যাতে বুঝা যায়, ভেতরে কেউ নেই।

Yakub Group

খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিনুজ্জামান জানান, ‘হাবিব লেনের আলম গেস্ট হাউজে অবৈধ কর্মকাণ্ড চলছে এমন অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার রাতেই অভিযান পরিচালনা করি। কিন্তু তার আগেই চম্পট দেয় আলম ও তার লোকজন। শনিবার দুপুরে আবারো অভিযানে যাই। কিন্তু তখন গিয়ে কলাপসিবল গেইট বন্ধ পাওয়া যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এসব গেস্ট হাউজ ও নাইট ক্লাব বন্ধে খুলশী থানা পুলিশ সজাগ রয়েছে। এর সাথে জড়িতদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।’

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm