দুই সিকদার দেশ ছাড়লেন ব্যক্তিগত বিমানে

হত্যাচেষ্টার মামলার পরও অনুমতি পেলেন

এক্সিম ব্যাংকের দুই পরিচালককে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠার পর পরই ব্যক্তিগত জেট বিমানে ঢাকা থেকে ব্যাংকক চলে গেছেন সিকদার গ্রুপের কর্ণধার জয়নুল হক সিকদারের দুই ছেলে রন হক সিকদার এবং তার ভাই দিপু হক সিকদার।

আরঅ্যান্ডআর এভিয়েশন লিমিটেডের একটি জেট বিমানে সোমবার (২৫ মে) সকাল নয়টায় তারা ব্যাংককের উদ্দেশ্যে রওনা হন। আরঅ্যান্ডআর অ্যাভিয়েশন সিকদার গ্রুপের মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান।

শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, যথাযথ অনুমোদন নিয়েই ফ্লাইটটি পরিচালিত হয়েছে। নিয়মিত ফ্লাইট বন্ধ থাকলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারের অনুমতি নিয়ে আসলে বিশেষ ফ্লাইটগুলো চলার অনুমতি দেওয়া হয়।

গত ১৯ মে এক্সিম ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জয়নুল হক সিকদারের দুই ছেলে রন হক সিকদার এবং তার ভাই দিপু হক সিকদারের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওই ব্যাংক থেকে ৫০০ কোটি টাকা ঋণের বিষয় নিয়ে ব্যাংকটির এমডি মো. হায়দার আলী মিয়াসহ দুই র্শীষ র্কমর্কতাকে তারা নির্যাতন ও গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেছে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান জার্মানভিত্তিক বার্তা সংস্থা ডয়চে ভেলেকে রন হক সিকদার আর দীপু হক সিকদারের নিজস্ব এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ব্যাংককে যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন।

তাদের বিরুদ্ধে মামলা থাকার পরও তারা কিভাবে এই করোনার মধ্যে দেশ ছাড়লেন— এমন প্রশ্নে এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে কি নাই এটা দেখার কাজ আমাদের নয়। সেটা পুলিশ ও ইমিগ্রেশনের কাজ। তারা চাইলে ব্যবস্থা নিতে পারতো। কারণ, তারা যে দেশের বাইরে যাবেন সব তথ্য পুলিশ ও ইমিগ্রেশনের কাছে আগেই দেওয়া ছিল।’

অন্যদিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ উল আহসান জানান, ‘আরঅ্যান্ডআর অ্যাভিয়েশনের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ২৫ মে সকাল ৯টা ১১ মিনিটে বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। আমার কাছে যে অ্যাপ্রুভাল আসে তাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স লেখা ছিল না। আরঅ্যান্ডআর অ্যাভিয়েশন লেখা ছিল। আর যাত্রীসংখ্যা লেখা ছিল দুই জন। যাত্রীদের নাম, তারা পুরুষ না নারী তা আমি বলতে পারবো না। এটা ইমিগ্রেশন বলতে পারবে। আর বলতে পারবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া কোনো উড়োজাহাজ চলাচল করে না।’

এদিকে রন হক সিকদার এবং তার ভাই দিপু হক সিকদারের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় দায়ের করা হতাচেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমি শুনেছি তারা দেশের বাইরে চলে গেছেন। কিন্তু কোনো সত্যতা পাইনি। ইমিগ্রেশনের কাছে জানতে চেয়েছি। তারাও এখনও তাদের দেশত্যাগের ব্যপারে কোনো তথ্য দেয়নি। আমরা তাদের গ্রেপ্তারের জন্য খুঁজছি।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!