দুই বছর পরই ট্রেন ছুটবে ঢাকা থেকে কক্সবাজার, কাজ এগোচ্ছে পুরোদমে

১৮ হাজার কোটির রেলপথে স্টেশন হবে ৯টি

আর দুই বছর পর ২০২২ সালের জুনেই ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হবে, যুক্ত হবে সারা দেশের রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে— এবার জোর দিয়ে সেকথা জানালেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকার এই দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথে স্টেশন থাকবে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া, কক্সবাজারের চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাহ, রামু, সদর ও উখিয়া এবং নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে।

দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথে স্টেশনগুলো হবে এরকম নান্দনিক।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথে স্টেশনগুলো হবে এরকম নান্দনিক।

দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ শেষ হলে কক্সবাজারের চিত্র পাল্টে যাবে— এই আশাবাদ জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার-দোহাজারী রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ প্রদানের প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে রয়েছে। যেসব অংশে জটিলতা রয়েছে তাও দ্রুত শেষ করে ক্ষতিপূরণ হস্তান্তর সম্পন্ন করা হবে। এরপর পুরোদমে কাজ চালিয়ে ২০২২ সালের জুন মাসেই সম্পন্ন হবে দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ কাজ।

কক্সবাজার-দোহাজারী রেলপথ প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ভূমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এ প্রকল্পে অর্থের জোগান দিচ্ছে।

পুরোদমে কাজ চালিয়ে ২০২২ সালের জুন মাসেই সম্পন্ন হবে দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ কাজ
পুরোদমে কাজ চালিয়ে ২০২২ সালের জুন মাসেই সম্পন্ন হবে দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ কাজ

প্রকল্পের আওতায় ১২৮ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার, রামু থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার এবং রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মিত হচ্ছে। এছাড়া নির্মিত হচ্ছে চারটি বড় সেতুসহ ২৫টি সেতু। বড় সেতুগুলো হচ্ছে মাতামুহুরী নদী, মাতামুহুরী শাখানদী, শঙ্খ এবং বাঁকখালী নদীর ওপর।

সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ করছে চীনের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআরইসি) চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) এবং বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি ও ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!