দুই ঘণ্টা বৃষ্টির সঙ্গে জোয়ারের পানিতে থৈ থৈ করছে চট্টগ্রাম নগরী

সকাল ৭টা থেকে ৯টা। দুই ঘণ্টার মুষলধারের বৃষ্টিতে ডুবেছে চট্টগ্রাম। সাথে ৯টা থেকে শুরু হয়েছে জোয়ারের পানি। টানা দুই ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩ মিলিমিটার। আর ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১১ মিলিমিটার।

গত ২৪ ঘণ্টায় বৃহস্পতিবার (৩ আগষ্ট) থেকে আজ শুক্রবার (৪ আগষ্ট) বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে মোট ৪২ মিলিমিটার।

বৃষ্টির পানির সাথে জোয়ারের পানি শহরে ঢুকে পড়ায় থৈ থৈ করছে চট্টগ্রাম নগরী। হাঁটু পানি থেকে কোমর পানিতে ভাসছে নগরীর নিম্নাঞ্চল।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, মূলত মুষলধারে বৃষ্টি ও জোয়ার শুরু হওয়ায় নগরী প্লাবিত হয়েছে। মৌসুমী বায়ু সক্রিয় ও স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে এ বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ বৃষ্টিপাত থাকতে পারে আরও ২ থেকে ৪ দিন। সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে। ঘূর্নিঝড়ের কোনো আশংকা নেই। তবে পাহাড় ধস হতে পারে বলে জানান আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল।

টানা বৃষ্টিতে নগরীর বাকলিয়ার তিন ওয়ার্ডের প্রায় সব এলাকা, দেওয়ানবাজার, বাদুরতলা, চকবাজার, কাপাসগোলা, বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও, মুরাদপুর, শুলকবহর, বিবিরহাট, পাঁচলাইশ ও কাতালগঞ্জ আবাসিক এলাকা, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, হালিশহর ও পতেঙ্গার বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।

কোথাও হাঁটু পানি আবার কোথাও কোমর পানিতে ডুবে গেছে এলাকাগুলো। অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকায় জমে থাকা পানির উচ্চতা অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় সড়ক দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ।

Yakub Group

এরমধ্যে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে জোয়ারের পানি। জোয়ারের ফলে আগ্রাবাদ, বন্দর, ইপিজেডের বিভিন্ন এলাকায় পানির উচ্চতা বেড়ে গেছে।

নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন দেখা যায়, চারদিকে থৈ থৈ করছে পানি। যেখানে আগে হাঁটু পানি উঠতো সেখানে এখন কোমর সমান পানি। বাসা-বাড়ি, দোকানপাটেও পানি ঢুকে পড়েছে। দুই নম্বর গেট সড়কে দেখা গেছে কোমর সমান পানি। এছাড়া মুরাদপুর ও চকবাজারে কোমর সমান পানির মধ্য দিয়ে চলাচল করছে মানুষ।

নালা-নর্দমায় পলিথিন ও আর্বজনা জমে থাকায় পানি স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে না। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে রাস্তায় জমে আছে পানি। বাসায় পানি ঢুকে যাওয়ায় আসবাবপত্র ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নষ্ট হচ্ছে। অনেক বাসায় জ্বলছে না চুলা। বাণিজ্যিক এলাকা চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে ভিজে গেছে বেশকিছু পণ্য।

আইএমই/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!