দিনে রিকশা-সিএনজি চালক, রাত হলেই নেমে পড়েন ছিনতাইয়ে

অস্ত্র ও ৫ সঙ্গীসহ ‘বুস্টার জামাল’ গ্রেফতার

ভোর হওয়ার সাথে সাথেই কেউ সিএনজি, কেউ রিকশা নিয়ে বের হয়ে পড়েন। সন্ধ্যা নামতেই তারা ‘চালক’ থেকে হয়ে উঠেন ছিনতাইকতারী। এভাবেই চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন জায়গায় ছিনতাই, ডাকাতি ও চুরি করতেন মো. জামাল ওরফে ‘বুস্টার জামাল’ ও তার দল। এভাবে আরেকটি ছিনতাইয়ের প্রস্তুতি নেয়ার সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়েন বুস্টার জামাল ও তার ৫ সহযোগী।

অস্ত্রসহ ডাকাতির প্রস্তুতিকালে বুধবার (১৮ আগস্ট) ভোরে তাদের গ্রেফতার করে ডবলমুরিং থানা পুলিশ। গ্রেফতার বাকিরা হলেন, মো. তুফান (২৫), মো. আরিফ হোসেন (২৫), মো. লিটন প্রকাশ সুমন (৩৫), মো. আনোয়ার হোসেন (৩০) ও মো. হানিফ (৩২)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, বুস্টার জামাল চট্টগ্রামের অন্যতম শীর্ষ ছিনতাইকারী। তার গ্রুপের নাম বুস্টার। এ গ্রুপের সবাই অন্য পেশার ফাঁকে ছিনতাই, ডাকাতি ও চুরি করেন। তাদের কেউ রিকশাচালক, কেউ সিএনজিচালক। তারা দিনভর গাড়ি চালান। রাতে আর ভোরে ছিনতাই, চুরি ও ডাকাতি করেন। তারা গ্রিল কেটে দোকানেও ডাকাতি করেন।

ভোরে তারা আগ্রাবাদ নালাপাড়া গলির মুখে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পুলিশ দেখে পালানোর চেষ্টা করেন তারা। পরে ধাওয়া দিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি এলজি, এক রাউন্ড কার্তুজ, একটি ছুরি, একটি কাটার, একটি প্লাস, একটি রেঞ্চ এবং ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জামাল জানিয়েছেন, তারা চট্টগ্রামের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিএনজিতে করে ঘুরে বেড়ান। এরপর টার্গেট নির্ধারণ করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ছিনতাই কিংবা ডাকাতি করে পরে পালিয়ে যান তারা। গ্রেফতার জামালের বিরুদ্ধে পাঁচটি, তুফানের বিরুদ্ধে তিনটি, লিটনের বিরুদ্ধে পাঁচটি, আনোয়ারের বিরুদ্ধে তিনটি এবং হানিফের বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!