দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৪০ গ্রামে রোববার ঈদ হবে

দক্ষিণ চট্টগ্রামের অনেক গ্রামে ঈদুল আজহা পালিত হবে একদিন আগেই। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোববার (১১ আগস্ট) দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৭ উপজেলার ৪০ গ্রামে ঈদুল আজহা পালন করা হবে। এসব গ্রামে প্রায় দুইশো বছর ধরে এ প্রথা চলছে।

রোববার (১১ আগস্ট) সকাল ৮টায় সাত উপজেলায় পৃথক পৃথক স্থানে ঈদুল আজহার নামায অনুষ্ঠিত হবে। এরপর পশু কোরবানি দেওয়া হবে।

ইতোমধ্যে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় ও কোরবানির জন্য প্রস্তুতি শুরু করছে সাতকনিয়ার মির্জাখীল দরবার শরীফ কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও দেশের অন্যান্য স্থানে থাকা মির্জারখীল দরবার শরীফের অনেক মুরিদ ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ের জন্য দরবার শরীফে চলে আসবেন। রোববার সকালে মির্জারখীল দরবার শরীফের মাঠে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করবেন তারা।

মির্জাখীল দরবার শরীফের ভক্তরা কোনো কোনো গ্রামে পৃথকভাবে ঈদুল আজহার নামাজের আয়োজন করবেন। আবার কিছু কিছু এলাকার মুরিদরা সাতকানিয়ার মির্জাখীল গিয়ে দরবার শরীফের মাঠে উপস্থিত হয়ে নামাজ আদায় করবেন। তারা নামাজ শেষ করে যার যার এলাকায় গিয়ে পশু কোরবানি দেবেন।

মির্জারখীল দরবার শরীফ পরিচালনা কমিটির সচিব ও মির্জারখীল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক বজলুল করিম চৌধুরী জানান, মির্জারখীল পুরো গ্রামের মানুষ রোববার ঈদুল আজহা পালন করবে। প্রায় দুই শতাধিক বছরের অধিক সময় ধরে মির্জারখীল দরবার শরীফের মুরিদরা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে একদিন আগে রোজা পালন, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপন করেন। চট্টগ্রামের প্রায় ৪০ গ্রামে থাকা দরবার শরীফের মুরিদরাও রোববার ঈদ উদযাপন করবে।

তিনি আরো জানান, যেসব এলাকায় দরবার শরীফের মুরিদ বেশি রয়েছে তারা নিজ নিজ এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় ও কোরবানি দেবেন। আর যেখানে দরবার শরীফের ভক্ত কম তারা সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরীফে এসে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। পরে বাড়িতে গিয়ে পশু কোরবানি দেবেন।

জানা গেছে, চন্দনাইশ উপজেলায় জাহাঁঙ্গিরিয়া মমতাজিয়া দরবার শরীফ ময়দানে ঈদুল আজহার নামায আদায় করা হবে। এতে ইমামতি করবেন দরবার শরীফের পীর মাওলানা শাহসুফি সৈয়দ মুহাম্মদ আলী।

যেসব গ্রামে রোববার ঈদ

চন্দনাইশ উপজেলার বাইনজুড়ি, বরকল, ফকিরপাড়া, বরমাপাড়া, পশ্চিম এলাহাবাদ, কাঞ্চননগর, মাইজপাড়া, জুনিঘোনা, আব্বাসপাড়া, মাঝেরপাড়া, দক্ষিণ কাঞ্চনগর, ছৈয়দয়াবাদ, খুনিয়াপাড়া, হাশিমপুর, কেশুয়া, সাতবাড়িয়া, মুহাম্মদপুর ও হারালা,

পটিয়ার চরকানাই, জহাইদগাঁও, শ্রীমাই, কাগজিপাড়া, শিকলবাহা, শান্তিরহাট।

বাঁশখালীর সাধনপুর, জলদি, কালিপুর, গুনাগড়ি, সনুয়া, মিঞ্জিরিতলা ও গন্ডামারা, আনোয়ারার বারখাইন, বাথুয়া ও তৈলারদ্বীপ।

বোয়ালখালী উপজেলার চরনদ্বীপ ও খরনদ্বীপ।

সাতকানিয়ায় মির্জাখীল, খোয়াছপাড়া, বাংলাবাজার, মইশামুড়া, বাজালিয়া, কাঞ্চনা ও গাঠিয়াডাঙ্গা।

লোহাগাড়ার আমিরাবাদ, চনুতি, আদুনগর, বরহাতিয়া, পুটিবিলা ও উত্তর সুখছড়ি।

এএম/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!