অবসর সময়ে রিকশার গ্যারেজে বসে মোবাইলে লুডু খেলছিলেন আলমগীর ফকির(৬৫) ও মো. আরিফ (২৮)। তারা দু’জনেই একই গ্যারেজের রিকশা ভাড়া নিয়ে চালাতেন। লুডু খেলার মাঝখানে দু’জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হলে আলমগীর থাপ্পড় দেন আরিফকে। আর সেই থাপ্পড়ই কাল হয়ে দাঁড়ায় আলমগীরের জন্য। থাপ্পরের প্রতিশোধ নিতে আলমগীরকে খুন করেন আরিফ।
৩০ মে (বৃহস্পতিবার) রেঞ্জের আঘাতে আলমগীরকে খুন করে লাশ গুম করতে কাস্টমস এলাকার ব্রিজের নিচে লুকিয়ে রাখা হয়। আলমগীরের রিকশাটিও কেজি দরে বিক্রি করে দেন আরিফ। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি তার, বন্দর থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন আরিফ।
রোববার (২জুন) বন্দর থানা পুলিশ জানায়, শনিবার ভোর রাতেই আসামি আরিফকে ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় আসামির হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. আরিফ ভোলা জেলার তজুমুদ্দিন থানার দেওয়ানপুর গ্রামের ভুঁইয়া বাড়ির মৃত আবদুল পাটোয়ারীর ছেলে। তিনি নগরীর বন্দর থানার মধ্যম হালিশহর এলাকার ধুপপুলে গনি মাজনের বাড়িতে বাড়ায় থাকেন।
ঘটনার বিষয়ে বন্দর জোনের পুলিশের উপ-কমিশনার শাকিলা সোলতানা বলেন, নিহত আলমগীর এবং গ্রেপ্তার আরিফ একই গ্যারেজের রিকশা চালাতেন। গ্যারেজের ভেতরে লুডু খেলার একপর্যায়ে বাকবিতণ্ডায় জড়ান তারা। এসময় আরিফকে থাপ্পড় মারেন আলমগীর। এরপর আরিফ প্রতিশোধের নেশায় গত ৩০ মে রাত আড়াইটার পর আলমগীরের রিকশায় চড়ে তাকে নিয়ে কাস্টম ব্রিজের ঢালে যান।
আরিফ পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি লোহার রেঞ্জ দিয়ে মাথায় এবং বুকে আঘাত করে আলমগীরের মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এরপর তাকে টেনে হিঁচড়ে মরদেহ ঝোপের মধ্যে আড়াল করে। আলমগীরের রিকশা নিয়ে খুলশী থানার আমবাগান এলাকায় কেজি দরে সাড়ে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করেন আরিফ। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে চট্টগ্রাম কলেজ হাসপাতালে পাঠালে ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
নিহত আলমগীরের ছেলে মো. মিরাজ মেডিকেলে গিয়ে তার বাবার লাশ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে একটি এজাহার দায়ের করেন। মামলা রুজুর পর সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে আমরা আসামিকে শনাক্ত করি এবং তাকে গ্রেপ্তার করি।
বিএস/আরএ/ডিজে