ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটনের মাঠে রান উৎসবে মেতেছিল দুই দলই। সেঞ্চুরি ও হাফ-সেঞ্চুরি পেয়েছে উভয় দল। ইংল্যান্ড ম্যাচ জিতল, কিন্তু উভয় দলের ব্যাটিং সমান প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। বিশ্বকাপে রান উৎসবের আগাম প্রস্তুতি যেন সেরে নিল ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান।
শেষ ওভারে দরকার ১৯ রান। সেট ব্যাটসম্যান সরফরাজ আহমেদ ছিলেন। কিন্তু ক্রিস ওকসের করা ওভারে একটি ওয়াইডের পরও পাকিস্তান তুলতে পারলো মাত্র ৬ রান।
সাউদাম্পটনে অবিশ্বাস্য এক রান তাড়ায় তীরে এসে তরী ডুবল আনপ্রেডিক্টেবলদের। ৩৭৪ রানের বিশাল লক্ষ্য পার করার খুব কাছে এসে সরফরাজের দল হেরেছে ১২ রানে।
পাহাড়সমান লক্ষ্য, কিন্তু পাকিস্তান হাল ছাড়েনি। ওপেনার ফাখর জামানের ঝড়ো সেঞ্চুরির সঙ্গে বাবর আজম আর আসিফ আলির জোড়া ফিফটিতে জয়ের খুব কাছে চলে এসেছিল তারা। হলো না।
ইমাম উল হক আর বাবর আজম উদ্বোধনী জুটিতে তুলেন ৯২ রান। ইমাম ৩৫ করে সাজঘরের পথ ধরেন। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ফাখর আর বাবরের ১৩৫ রানের ম্যাচ ঘুরানো এক জুটি। ১০৬ বলে ১২ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায় ১৩৮ রানের ঝড় তোলা ফাখরকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান ক্রিস ওকস।
পরের ওভারেই ৫২ বলে ৫১ করে আদিল রশিদের ফিরতি ক্যাচ হন বাবর। তারপরও পাকিস্তান ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়েনি। ৩৬ বলে ২ চার আর ৪ ছক্কায় ৫১ করা আসিফ আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন।
পঞ্চম উইকেটে সরফরাজের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়ে আসিফ ফেরার পর যেন সেই আশার প্রদীপটা নিভে যায়। পরের ব্যাটসম্যানরা মারকাটারি ব্যাটিং করতে পারেননি। ৩২ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকা সরফরাজের ইনিংসটাও আসলে দলের চাহিদা মেটানোর মত ছিল না। পাকিস্তান থেমেছে ৭ উইকেটে ৩৬১ রানে।
এর আগে জস বাটলারের ৫০ বলের বিধ্বংসী এক সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩ উইকেটে ৩৭৩ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে ইংলিশরা।
শুরু থেকেই দাপট দেখিয়ে খেলতে থাকেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। জেসন রয় আর জনি বেয়ারস্টো উদ্বোধনী জুটিতেই তুলেন ১১৫ রান।
৪৫ বলে ৫১ করা বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে এই জুটিটি ভাঙেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। সেঞ্চুরির খুব কাছে এসে সাজঘরের পথ ধরেন ৯৮ বলে ৮৭ করা জেসন রয়ও। কিন্তু ইংল্যান্ডের রানের বান আটকানো যায়নি।
যখন যে উইকেটে এসেছেন, তিনিই রান করেছেন। ৫৪ বলে জো রুটের ৪৩ রানের ইনিংসটাকে যা একটু ধীরগতির বলা যায়। ২১১ রানের মাথায় তিনি ফেরার পর যেন আরও ভয়ংকর হয়ে উঠে ইংলিশরা।
চতুর্থ উইকেটে রীতিমত তাণ্ডব চালান জস বাটলার আর ইয়ন মরগান। ৮৯ বলে তারা গড়েন ১৬২ রানের অবিচ্ছিন্ন এক জুটি।
যে জুটির পথে ৫০ বলেই সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাটলার। শেষ পর্যন্ত ৫৫ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ৯ ছক্কায় ১১০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৪৮ বলে হার না মানা ৭১ রান করেন অধিনায়ক মরগান।