চট্টগ্রামের কালুঘাট কর্ণফুলী নদীর ফেরির পাটাতন থেকে নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার প্রায় ৭২ ঘন্টা পরও হদিস মিলেনি জনি মুখার্জীর।
৪০ বছর বয়সী জনি চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার রাধামাধব আখড়ার মৃত মুকুন্দ মুখার্জীর ছেলে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে ওই যুবক আত্মহত্যার চেষ্টা বা আত্মহত্যা করেছেন।
এ বিষয়ে সোমবার পাঁচলাইশ মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন জনির স্ত্রী মুক্তা ভট্টাচার্য।
পারিবারিক কলহের জেরে গত রোববার (৩০জুন) কর্ণফুলী নদীর কালুরঘাট ফেরির পাটাতন থেকে নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি। জনিকে খুঁজতে সার্বক্ষনিক একটি টহল টিম কাজ করছে বলে জানানো হয় সদরঘাট নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে।
বুধবার (৩জুলাই) সর্বশেষ অবস্থা জানতে কথা হয় সদরঘাট নৌ পুলিশের ওসি মো. একরাম উল্লাহর সাথে। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষনিক নদীতে টহল দিচ্ছি। চব্বিশ ঘণ্টা একটা টহল টিম টহলে আছে।’
ওসি একরাম আরো বলেন, ‘যেহেতু কর্ণফুলী নদীতে জোয়ার ভাটা আছে এবং বৃষ্টির কারনে পানির পরিমান বেড়ে গেছে তাই দেহটি খুঁজতে আমাদের একটু বেগ পেতে হচ্ছে। তবে সম্ভবত দেহটি ঢলের পানিতে নতুন ব্রীজের দিকে চলে গেছে।’
এর আগে, চট্টগ্রাম প্রতিদিনের হাতে আসা দুইটি ভিডিও ফুটেজের একটিতে দেখা যায়, লাল শার্ট ও কালো প্যান্ট পরিহিত এক যুবক খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে কালুরঘাট সেতুর পাটাতনের দিকে যান। পরবর্তী আরেকটি ভিডিওর ১ মিনিট ৬ সেকেন্ডে দেখা যায় পাটাতনে ৩ সেকেন্ড দাঁড়িয়ে থাকার পর পায়ের সেন্ডেল খুলে কর্ণফুলী নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি।
ভিডিওতে দেখা যাওয়া যুবকটি নিজেদের পরিবারের সদস্য বলে নিশ্চিত করেন নিখোঁজ জনির পরিবার।
জনির প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা যায়, জনি শারীরিক প্রতিবন্ধী। তিনি খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটেন। এলাকায় একটি দোকানে পান সিগারেট বিক্রি করে সংসার চালাতেন তিনি। রোববার জনিকে এক নম্বর বাসে উঠে কালুরঘাটের দিকে যেতে দেখেছেন অনেকে।
বিএস/এমএহক