তামিম চট্টগ্রামে, সোমবার কুমিল্লার বিপক্ষে খেলতেও পারেন
গত ১৭ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু বিপিএল চট্টগ্রামে ফিরলেও চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী খান পরিবারের ছোট খান তামিম ইকবাল নিজের জন্মস্থানে আসতে পারেননি আচমকা জ্বরাক্রান্ত হওয়ায়। যদিও নিজের মাঠে বিপিএল লড়াইয়ে নামতে মুখিয়ে ছিলেন তামিম। এমনিতে গত বেশ কিছুদিন ধরে ইনজুরি, অসুস্থতা যেন নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে তামিম ইকবালের। চলতি বিপিএলে ফিরে পাচ্ছিলেন নিজের হারানো ফর্ম। জ্বরে হাসপাতালে ভর্তি, সেখান থেকে ঢাকার বাসায় বিশ্রাম। শনিবার ঢাকার কোচ জানিয়েছিলেন সুস্থতার পথে তামিম, তবে বিসিবি চিকিৎসকের সবুজ সংকেত পেলেই তামিম দলের সাথে যোগ দিবেন।
তাই রোববার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তামিম ইকবালকে দেখে বিশেষভাবে চমকে ওঠননি কেউ। সবার মাঝে একটা প্রচ্ছন্ন ধারনা ছিল, তামিম ইকবাল হয়তো চট্টগ্রাম পর্বেও দলের সাথে যোগ দিতে পারেন এবং শেষ ম্যাচ খেলতেও পারেন। আগেই জানা, তামিমের গ্রোয়েনে তেমন কোন সমস্যা নেই। এমআরআই’তে তেমন কোন সমস্যা ধরে পড়েনি। যারা তাকে সার্বক্ষনিক খোঁজ-খবর রাখছিল, বিসিবি প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী তাদেরকে আগেই জানিয়েছেন, জ্বরমুক্ত তামিম শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারলে ক’দিন পরই মাঠে নামতে পারবেন।
তাই একটা প্রচ্ছন্ন ধারনা অবশ্য ছিল যে, জ্বর কমে যাবার পর শারীরিকভাবে নিজেকে তেমন দুর্বল না ভাবলে তামিম খেলতেও পারেন। বোঝাই যাচ্ছে সে কারণেই তামিম এখন রাজধানী ঢাকা থেকে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে। রোববার প্র্যাকটিসেও দেখা মিলেছে ঢাকা তথা দেশের এক নম্বর ওপেনারের। ঢাকা প্লাটুনের প্র্যাকটিসে তামিমকে দেখার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের মনে কিছু প্রশ্নই জেগেছে। প্রথম প্রশ্ন, আচ্ছা! তামিম কি সুস্থ? তার পক্ষে কি চট্টগ্রাম পর্বে কোন ম্যাচ খেলা সম্ভব হবে? নাকি নিজেকে ঢাকা পর্বের জন্য তৈরি করতেই বন্দর নগরীতে দলের সাথে প্র্যাকটিস করতে উড়ে আসা?
কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দীনের কথা শুনে মনে হলো, এমনি এমনি মানে দলকে চাঙ্গা রাখতে বা ড্রেসিং রুমকে উজ্জীবিত করতেই নয়। কিংবা নিজেকে ঢাকার জন্য প্রস্তুত করার কথা ভেবেও নয়। আসলে তামিম চট্টগ্রামে এসেছেন খেলার লক্ষ্য নিয়েই। ঢাকা কোচ সালাউদ্দীনের বক্তব্য, ‘তার জ্বর নেই। এখন কুঁচকির সমস্যাও কেটে গেছে। শারীরিক দুর্বলতাও বেশ কম।’ আজকে তাকে দেখে অনেকটাই আশ্বস্ত কোচ সালাউদ্দীন। আজ (রোববার) প্র্যাকটিসে বাকিদের ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন তদারক করার পাশাপাশি তামিমের ফিটনেস লেভেলটাও পাখির চোখে পরখ করেছেন ঢাকা কোচ।
রানিংসহ তামিমকে করানো বিভিন্ন ফিজিক্যাল ফিটনেস যাচাইয়ের পাশাপাশি ‘ড্রিল’ এবং ফিটনেস ও স্ট্রেন্থ নিরূপনে করানো সমুদয় ট্রেনিং টেস্ট দেখে ঢাকা কোচের মনে হয়েছে, তামিম মোটামুটি ভাল আছেন। তারপরও কালকে তামিম খেলবেনই, তাকে খেলানোই হবে- এমন কথা মুখ ফুটে বলেননি। তিনি জানিয়েছেন, ‘কাল সোমবার খেলার আগে শেষবার খুঁটিয়ে দেখা হবে। সেখানে যদি ফিটনেস টেস্টে উৎরে যেতে পারে তাহলে হয়ত খেলবে। এখন সোমবার সকালে যদি সব কিছু ঠিক থাকে, তাহলে নিজ শহর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হয়তো সিলেট থান্ডার্সের বিপক্ষে মাঠে দেখা যেতে পারে ঢাকার বাঁ-হাতি ওপেনারকে।’