তাঁত মেশিনের মিথ্যা ঘোষণায় এলো আমদানি নিষিদ্ধ সার্কিট ব্রেকার

পুরাতন তাঁত মেশিন আনার মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আনা আমদানি নিষিদ্ধ সার্কিট ব্রেকার ও বিভিন্ন প্রকার কসমেটিকসহ তিন কন্টেইনার পণ্য জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) কাস্টম হাউস চট্টগ্রামের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) টিম চালানটি জব্দ করে।

কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের আমদানিকারক মেসার্স সোহেল টেক্সটাইল দক্ষিণ কোরিয়া থেকে পুরাতন পাওয়ার লুম (তাঁত তৈরির মেশিন) আনার ঘোষণা দেয়। প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের রেয়াতী সুবিধার আওতায় আমদানিকৃত ৬৯ হাজার ৫৬৯ কেজি সেকেন্ড হ্যান্ড ক্যাপিটাল মেশিনারি খালাসের জন্য গত ১৭ জানুয়ারি কাস্টম হাউসে বিল অব এন্ট্রি (বি/ই নং- ১০২২১৫) দাখিল করেন।

কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি আমদানি করে তিন কন্টেইনার সার্কিট ব্রেকার ও উচ্চ শুল্কের প্রসাধনী সামগ্রী। সাধারণত বাংলাদেশে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এসব কমদামী পুরাতন পাওয়ার লুম মেশিন আসে।

কাস্টমস সূত্র জানায়, উক্ত চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিলেন আমদানিকারকের মনোনিত সিএন্ডএফ প্রতিনিধি মল্লিকা ট্রেডার্স। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কন্টেইনারসমূহ আটক করে কাস্টমসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন এন্ড রিসার্চ (এআইআর) টিম।

পরবর্তীতে কায়িক পরীক্ষায় পুরাতন আমদানি নিষিদ্ধ প্রায় ৩৯,৮৫০ কেজি সার্কিট ব্রেকার ও উচ্চ শুল্কের বিভিন্ন প্রকার কসমেটিক সাবান, শ্যাম্পু, বডি লোশন, ফেস ক্রিম, শাওয়ার জেল ও পর্দার কাপড় পাওয়া যায়।

আমদানকারক প্রতিষ্ঠান মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করায় পণ্যগুলি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে উল্লেখ করেছেন কাস্টমসের এআইআর শাখার সহকারী কমিশনার রেজাউল করীম।

তিনি বলেন, ‘উচ্চ শুল্কের পণ্য আমদানি করায় কাস্টমস আইন ও বিধি মোতাবেক প্রযোজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জড়িতদের বিরুদ্ধে।’

এএস/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!