চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে পাচারের সময় একটি শপিং ব্যাগ থেকে পাঁচটি তক্ষক উদ্ধার করেছে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। এ সময় এক যুবককে আটক করা হয়। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার করেরহাট এলাকায় মো. মাসুদ (৩৫) নামে এক যুবককে সন্দেহ হলে পরে তার সঙ্গে থাকা একটি শপিং ব্যাগ তল্লাশি করে পাঁচটি তক্ষক পাওয়া যায়।
মাসুদ নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার মো. শামসুল হকের ছেলে। তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিজানুর রহমান। উদ্ধার হওয়া তক্ষকগুলো বুধবার বিকালে করেরহাট রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকায় অবমুক্ত করা হয়েছে।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন জানান, সকালে পুলিশের একটি টিম করেরহাট এলাকায় ডিউটি করার সময় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করে। এরপর তার সঙ্গে থাকা ব্যাগে তল্লাশি করে পাঁচটি তক্ষক উদ্ধার করা হয়।
চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের সহকারী বন সংরক মোহাম্মদ হারুন বলেন, মাসুদ নামে ওই ব্যক্তি তক্ষকগুলো খাগড়াছড়ির মহালছড়ি থেকে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে পুলিশ আটক করে আমাদের খবর দেয়। এরপর নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ১৫ দিনের সাজা দিয়েছেন। বিকালে তক্ষকগুলো করেরহাট বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিজানুর রহমান বলেন, বন্যপ্রাণী আমাদের জাতীয় সম্পদ, যেকোনো মূল্যে বন্যপ্রাণী রক্ষা করতে হবে। মাসুদ নামে এক ব্যক্তি পাচারের উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে পাঁচটি তক্ষক নেওয়ার সময় পুলিশ আটক করে। পরে বন্যপ্রাণী (সংরণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর অধীনে মো. মাসুদকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ডিজে