‘তক্ষকের জন্য মরণফাঁদ’ বৈদ্যুতিক খুঁটি কেটে ফাঁদ বসাচ্ছে প্রতারকচক্র

বিপন্ন প্রাণী তক্ষক ধরে হুজুগের বশে পাচার করার ঘটনা বেড়েছে বান্দরবানসহ পার্বত্য জেলায়। আর একে কেন্দ্র করে বাড়ছে অপরাধ। তক্ষক পাচারের বিরোধের জের ধরে খুনের ঘটনাও ঘটেছে। বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা বদুরঝিরিস্থ মিরিঞ্জা এলাকায় ১১ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক (স্টিলের) খুঁটি কেটে তক্ষক ধরার ফাঁদ বসিয়েছে তক্ষক কারবারিরা।

শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে বদুরঝিরিস্থ মিরিঞ্জা এলাকায় রাস্তার পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটি কেটে এ ঘটনা ঘটায় তারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লামা উপজেলার ইয়াংছা বদুরঝিরি এলাকার বাচা মিয়ার ছেলে আব্দুল করিম, মো. আমিন এবং চকরিয়ার মো. রফিকের ছেলে সোনা মিয়া ও হামিদ দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রটি তক্ষক বিক্রির নামে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। এমনকি গহীন জঙ্গলে তক্ষকের নামে তক্ষক কিনতে আসা লোকদের জিম্মি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে পারে না। কিছু বললে হত্যার হুমকি দেয়। শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতেও তক্ষক ধরার জন্য রাস্তার পাশে ১১ হাজার ভোল্টের স্টিলের বৈদ্যুতিক খুঁটি কেটে ফেলে।

জানা গেছে, সাধারণত পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার বনাঞ্চল থেকেই বেশিরভাগ তক্ষক ধরা হয়ে থাকে। ফলে পাহাড়ি জেলা ও উপজেলাগুলোতে অনেকদিন ধরেই সক্রিয় তক্ষক পাচারকারিরা। তারা বিভিন্ন এলাকার স্থানীয়দের একেকটি তক্ষকের মূল্য কোটি টাকা বলে লোভ দেখায়। এভাবে দেশের বাইরে পাচার এবং পাচারকারীদের হাতে থাকা অবস্থায় মারা যাওয়ায় পাঁচ হাজারেরও বেশি তক্ষক হারিয়ে গেছে। বন্য প্রাণী আইন ২০১২ এর ৩২ ধারা মতে তক্ষকজাতীয় প্রাণী ধরা ও পাচার করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হলেও এসব পাচারকারিরা আইন মানছে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লামা উপজেলার ৩ নম্বর ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে তক্ষক বিক্রির নামে একটি চক্র প্রতারণা করে আসছে। তক্ষক ধরা ও পাচার করা সম্পূর্ণ অপরাধ এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি কাটাও অপরাধ।

তিনি আরও বলেন, আমি খবর নিয়ে বিষয়টি দেখতেছি। যারা করেছে তাদের আগে বুঝাবো যদি না বুঝে তাহলে আইনের হাতে তুলে দিবো।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!