ঢাকাকে বিদায় করে ফাইনালের পথে চট্টগ্রাম

দুর্বল ব্যাটিংয়ের মতো ঢাকার বোলিংও হলো সাধারণ মানের। ১৪৪ রানের মামুলি স্কোর নিয়ে ম্যাচ জিততে হলে বোলিংয়ে যেরকম দুর্দান্ত কিছু করে দেখাতে হতো ঢাকা প্লাটুনকে, তার কিছুই দেখাতে পারেনি তারা। আর তাই ম্যাচ জিততে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের একটুও কষ্ট হলো না। ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে ফাইনালের পথে এক পা এগিয়ে গেল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আর এলিমেনেটারে হেরে বঙ্গবন্ধু বিপিএল থেকে বিদায় নিল ঢাকা প্লাটুন।

জয়ের জন্য ১৪৫ রান তাড়া করতে নামা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ব্যাটিংয়ের শুরুটা হলো সুন্দর। ৫.২ ওভারে ওপেনিং জুটিতে উঠল ৪২ রান। ২ ছক্কা ৩ বাউন্ডারিতে মাত্র ১২ বলে ২৫ রান করে জিয়াউর রহমান পাওয়ার প্লে’টা ভালই কাজে লাগালেন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ক্রিস গেইল ও ইমরুল কায়েসের ব্যাটিং চট্টগ্রামকে সহজ জয়ের পথেই রাখে। শাদাব খানের প্রথম ওভারে ইমরুল কায়েস ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ২২ বলে ৩২ রান করে যখন আউট হলেন ততক্ষণে ম্যাচ জয়ের সিঁড়িতে চড়ে বসেছে চট্টগ্রাম।

শাদাব খান শেষের দিকে ক্রিস গেইলকে ৩৮ রানে ফেরালেও ঢাকা বড় হার এড়াতে পারলো না। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪ ছক্কায় ১৪ বলে অপরাজিত ৩৪ রান করে চট্টগ্রামকে এলিমেনেটারের বাধা পার করালেন দাপটের সঙ্গে।

এই ম্যাচে সবকিছুই হলো যেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের চাওয়া মতো। দুপুরে টসে জিতলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বোলিং বেছে নিলেন। বোলাররা শুরু থেকেই চট্টগ্রামকে ম্যাচে রাখলেন। ঢাকা শুরু থেকেই ব্যাটিংয়ের ছন্দ হারিয়ে বসলো। ৬০ রানে ৭ উইকেট হারানো দল শেষ পর্যন্ত ১৪৪ রানের পৌঁছাল পাকিস্তানি শাদাব খানের অপরাজিত হাফসেঞ্চুরির কৃতিত্বে।

কিন্তু এত কম স্কোর নিয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের লম্বা এবং দারুণ ফর্মে থাকা ব্যাটিং লাইনআপকে চ্যালেঞ্জ জানানো যায় না। এলিমেনেটারে সেই শিক্ষাই পেল ঢাকা প্লাটুন।

ম্যাচ শেষে ঢাকার অধিনায়ক মাশরাফি বললেন- ‘ব্যাটিংটাই আমাদের ডুবিয়েছে। শেষের দিকে শাদাবের ব্যাটিং অবশ্য আমাদের জন্য কিছুটা সুযোগ তৈরি করেছিল। কিন্তু চট্টগ্রামের ব্যাটিংয়ের সময়ে উইকেট খুব ভাল ছিল। তারা ভাল ব্যাটিং করেছে।’

হাতে ১৪ সেলাই নিয়েও মাশরাফি এই ম্যাচে খেলেন। পুরো ৪ ওভার বোলিং করেন। ব্যাটিংয়েও কিছুটা সময় কাটান। শর্ট ফাইন লেগে একহাতে ক্রিস গেইলের ক্যাচও ধরেন। অধিনায়ক লড়াইয়ের অনন্য উদাহরণ তৈরি করলেন। কিন্তু দলের বাকিরা যে শীতনিদ্রা দিলেন!

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ঢাকা প্লাটুন: ১৪৪/৮ (২০ ওভারে, মুমিনুল ৩১, শাদাব ৬৪*, পেরেইরা ২৫, রুবেল ২/৩৩, নাসুম ২/১১, এমরিট ৩/২৩, মাহমুদউল্লাহ ১/৫)।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৪৭/৩ (১৭.৪ ওভারে, গেইল ৩৮, জিয়াউর ২৫, ইমরুল ৩২, মাহমুদউল্লাহ ৩৪*, ওয়ালটন ১২*, মেহেদি হাসান ১/২০, শাদাব ২/৩২)।
ফল: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: রায়াদ এমরিট

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!