ডিজিটাল হবে পার্বত্য চট্টগ্রামের ২৮ পাড়া

পার্বত্য চট্টগ্রামের ২৮টি দুর্গম পাড়াকেন্দ্রকে প্রাথমিক স্তরে ডিজিটাল শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় আনা হচ্ছে। এ জন্য টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

সোমবার (১৯ অক্টোবর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের উপস্থিতিতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য ডিজিটাল পাড়াকেন্দ্রকে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেন।

তিনি বলেন, ‘এটি একটি নোভেল ভেঞ্চার। এটি পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল করার বর্তমান সরকারের এক মহতী উদ্যোগ। আমাদের মানবসম্পদকে ডিজিটাল দক্ষতা দিতে না পারলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ তৈরি হবে না। এই লক্ষ্যে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে ডিজিটাল শিক্ষা অপরিহার্য।’

‘পাড়াকেন্দ্র এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ডিজিটাল করতে পারলে আমরা বৈষম্যহীন ডিজিটাল সাম্যসমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারব।’

‘ডিজিটাল শিক্ষা প্রসারের জন্য ডিজিটাল কনটেন্ট একটি অপরিহার্য অংশ’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘পাড়াকেন্দ্র ডিজিটাল করার কর্মসূচি গোটা দেশের জন্য আমূল রূপান্তরের যাত্রা।’

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ডিজিটাল করার লক্ষ্যে খুব শিগগিরই এ ধরনের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে।’

শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘সকলের সহযোগিতা থাকলে ডিজিটাল শিক্ষা চালু করা কঠিন হবে না।’

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন, পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুস্তফা কামাল, টেলিযোগাযোগ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহসিনুল আলম এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক বদিউর রহমান।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!