চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি কেশবপুর এলাকার বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত আরও আটজনের পরিবার পাচ্ছে ক্ষতিপূরণ। প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সহায়তা দিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
এরমধ্যে আরও আটজনের ডিএনএ শনাক্ত হয়েছে। তারা হলেন কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানার হিয়াজোড়া গ্রামের মো. শাহ্ আলমের ছেলে রাসেল (২১), একই জেলার মুরাদপুর থানার হীরপুর গ্রামের মো. কালুর ছেলে মো. শাহ্জাহান (২৮), চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানার এলাকার শেখলখীল গ্রামের বাসিন্দা শাহ্ আলমের ছেলে আব্দুস সোবাহান ওরফে আব্দুস রহমান (২৯), একই থানার নুরুল আমিনের ছেলে মো. আক্তার (৩৩), একই জেলার সীতাকুণ্ড থানার মছজিদ্দা গ্রামের সগির আহমেদ এর ছেলে আবুল হাসেম (৪৫), দক্ষিণ সলিমপুর গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে আব্দুল মনির (৩০), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার তালশহর গ্রামের তালেবের ছেলে মো. বাবুল মিয়া (৪০) এবং নোয়াখালী জেলার চরজব্বর থানার চরবৈশাখী গ্রামের মৃত সফিউল আলমের ছেলে সাকিব (১৮)।
রোববার (১৭ জুলাই) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন।
ইউএনও বলেন, ‘বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে হতাহত সবার পরিবার ক্ষতিপূরণ পাবে। যেসব মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে, তাদের স্বজনরা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। তবে যাদের নাম-পরিচয়ের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করা হচ্ছে, প্রতিবেদন পেলে তাদের পরিবারকেও সহায়তা করা হবে। বর্তমানে ডিএনএ শনাক্ত আটজনের তথ্য সংগ্রহ করে সংশ্নিষ্ট দপ্তর ও ডিপো কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত ১০ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ মোট ৫১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অজ্ঞাত আরও ১৬ জনের মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
ডিজে