দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে ২৩ নম্বর ডলফিনের মৃত্যুর পর মাত্র দেড় মাসের ব্যবধানে ‘খুন’ হয়েছে ২৪ নম্বর ডলফিন। হালদা নদীতে ডলফিন হত্যা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে ১১ মে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। অনলাইনে করা এ রিট আবেদনের ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১২ মে ) হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ভার্চুয়াল কোর্টে প্রথম আদেশ হিসেবে ‘ডলফিন রক্ষায় কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন ৭২ ঘণ্টার মধ্যে। পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালককে ইমেইলের মাধ্যমে কারণ জানাতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।’
হালদায় নির্বিচারে ডলফিন হত্যা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়ে ডলফিন হত্যা বন্ধে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না? তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। করোনাভাইরাস মহামারির ভেতর আদালতের বিচারিক কার্যক্রম সচল করতে অধ্যাদেশ জারির পর ভার্চুয়াল কোর্টে হওয়া শুনানির পর উচ্চ আদালত থেকে আসা এটাই প্রথম আদেশ।
রিটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ও চট্টগ্রামের রাউজানের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিবাদি করা হয়েছে। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম লিটন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার ও সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
এ প্রসঙ্গে আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম লিটন বলেন, ‘ভার্চুয়াল কোর্ট চালুর পর হাইকোর্টে এটাই প্রথম রিট এবং প্রথম আদেশ। ইমেইলের মাধ্যমে নির্ধারিত নিয়মে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি জমা দেয়া হলে আজ মঙ্গলবার আদালত ডলফিন রক্ষায় কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, গত ৮ মে রাউজান উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের জিয়া বাজার এলাকার ছায়ারচর নামক স্থানে হালদার পাড়ে ক্ষতবিক্ষত একটি ডলফিন পাওয়া যায়। ডলফিনের উপর এমন ক্ষতবিক্ষত নৃশংসতার বিষয়ে গবেষকরা বলেছেন, এটিকে কুপিয়ে হত্যা করে চর্বি কেটে নেয়া হয়েছে। ডলফিনের চর্বিতে নারীদের বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক আছে এমন কুসংস্কার থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে তারা জানান। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে জনস্বার্থে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হয়।
এসআর/এসএস