রোববার (৩১ মে) থেকে ৮ শর্ত মেনে সীমিত আকারে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। দুই দফায় ১৭টি আন্তনগর ট্রেন চালু করা হবে। আর চলাচল করা ট্রেনের অর্ধেক আসনের টিকেট বিক্রি করা হবে। মাঝপথে কম যাত্রাবিরতি থাকবে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও বাথরুমে সাবানের ব্যবস্থা করা হবে।
শনিবার (৩০ মে) দুপুরে ঢাকায় রেল ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ৮ শর্ত মানার কথা বলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, রেলের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে শতাধিক আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। রোববার থেকে আটটি ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম পথের সোনার বাংলা ও সুবর্ণ এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট পথে কালনী এক্সপ্রেস, ঢাকা-পঞ্চগড় পথে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, ঢাকা-রাজশাহী পথে বনলতা এক্সপ্রেস, ঢাকা-লালমনিরহাট পথে লালমনিরহাট এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-সিলেট পথে উদয়ন/পাহাড়িকা এক্সপ্রেস এবং ঢাকা-খুলনা পথে চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন।
এছাড়া ৩ জুন থেকে আরও নয়টি ট্রেন চালু করা হতে পারে। এগুলো হচ্ছে তিস্তা এক্সপ্রেস (ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জবাজার), বেনাপোল এক্সপ্রেস (ঢাকা-বেনাপোল), নীলসাগর (ঢাকা-চিলাহাটি), রূপসা এক্সপ্রেস (খুলনা-চিলাহাটি), কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস (খুলনা-রাজশাহী), মধুমতি এক্সপ্রেস (রাজশাহী-গোয়ালন্দঘাট), মেঘনা এক্সপ্রেস (চট্টগ্রাম-চাঁদপুর), কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস (ঢাকা-কিশোরগঞ্জ) ও উপকূল এক্সপ্রেস (ঢাকা-নোয়াখালী)।
মন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা ৮ শর্ত হল—
১. যাত্রার একদিন আগে অনলাইনে টিকিট ইস্যু করা যাবে।
২. আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট অনলাইনে ও মোবাইল অ্যাপে বিক্রি করা হবে।
৩. আন্তঃনগর ট্রেনে কোন প্রকার স্ট্যান্ডিং টিকেট ইস্যুয়ার বিক্রি করা হবে না
৪. যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব রক্ষায় বিজোড় সংখ্যায় টিকেট ইস্যু করা হবে। এক্ষেত্রে ৫০০ জন যাত্রী বহনের স্থলে ২৫০ জন যাত্রী বহন করবে।
৫. করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে ট্রেন এখন থেকে বিমানবন্দর জয়দেবপুর ভৈরব নরসিংদী স্টেশনে ট্রেন থামবে না।
৬. রাত্রিকালীন ট্রেনে যাতাযাতে এসি কেবিনে চাদর-বালিশ দেওয়া হবে না।
৭. স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কারণে ট্রেনে কোনরকম খাদ্য সরবরাহ করা হবে না। যাত্রীদের নিজ নিজ বাসা থেকে খাদ্য নিয়ে আসতে হবে।
৮. রেল কর্মচারীদের পাশ ও আর্মিদের ওয়ারেন্টের টিকেট পূর্বের মতো বলবৎ থাকবে।
জেএস/এএইচ