চট্টগ্রামের হাটহাজারীর নাজিরহাট রেল স্টেশনে টিকিট না পেয়ে ভাঙচুর ও এক কর্মচারীকে মারধর করেছে যাত্রীরা। এ ঘটনার পর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন স্টেশন মাস্টারসহ সকল কর্মচারীরা।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টিকিট না পেয়ে উত্তেজিত জনতা নাজিরহাট রেলওয়ে স্টেশনে এ হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
হামলায় স্টেশনের অস্থায়ী পয়েন্টসম্যান মো. হেলাল উদ্দিন আহত হন।
নিজের নিরাপত্তা চেয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপক বরাবর আবেদন করেছে নাজিরহাট স্টেশনে মাস্টার রোজিনা আক্তার।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম-নাজিরহাট রেল রুটের স্টেশনগুলোতে কয়েকমাস ধরে চলছে টিকিট সংকট। এ রুটে দুই জোড়া লোকাল ট্রেন চলাচল করে। গত চার মাস আগে টিকিটের চাহিদাপত্র দিয়েও টিকিট পাননি স্টেশন মাস্টাররা। টিকিট প্রেসের একাধিক মেশিন নষ্ট থাকায় এ সংকট।
চট্টগ্রাম নাজিরহাট রুটের একাধিক স্টেশন মাস্টারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নাজিরহাট, সরকারহাট, চারিয়া, হাটহাজারী, ফতেয়াবাদসহ অনেক স্টেশনে টিকিট নেই। স্টেশন মাস্টাররা চাহিদাপত্রের পাশাপাশি বাণিজ্য বিভাগ ও প্রেসে গিয়ে টিকিট সংকটের কথা জানিয়েছেন। তবে বাণিজ্য বিভাগ টিকিট সংকট কাটাতে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বাণিজ বিভাগের এমন উদাসীনতায় প্রতিমাসে রেলওয়ে হারাচ্ছে লাখ টাকা রাজস্ব। কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে প্রতিদিন বিনা টিকিটে রেল ভ্রমণ করছেন যাত্রীরা।
নাজিরহাট স্টেশন মাস্টার রোজিনা আক্তার চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আজ (রোববার) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ১৫-২০ জন লোক স্টেশনে এসে টিকিট না পেয়ে রুমে ঢুকে আমাদের ওপর হামলা চালায়। সংকটের বিষয় বুঝানোর চেষ্টা করলেও তারা শোনেনি। আমরা নিরাপত্তহীনতায় ভুগছি। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছি।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সুবক্তগীন বলেন, ‘এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমাকে কেউ জানায়নি। একটি রুটে কয়েক মাস ধরে টিকিট সংকট চললেও বাণিজ্য বিভাগের কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া দুঃখজনক। আমি এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দ্রুত টিকিট সংকট দূর করব।’
পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা তৌষিয়া আহমেদ বলেন, ‘এটি প্রেসের সমস্যা। প্রেসে মেশিন ও জনবল সংকট রয়েছে। টিকিট সংকট শুধু নাজিরহাট লাইনে নয়, পুরো দেশে। এখানে আমাদের করার কিছু নেই।’
সিএম/ডিজে