ট্রলি ব্যাগের পাইপভর্তি স্বর্ণ, দুবাই ফেরত যাত্রীর অভিনব কৌশল

অন্য তিন যাত্রীর কাছে ৩৩৪ কার্টন সিগারেট উদ্ধার

সাধারণ ট্রলি ব্যাগের চারপাশের পিতলের পাইপ পরিবর্তন করে এমনভাবে স্বর্ণের বানানো পাইপ ঢুকিয়ে দেয়া হয় যা সহজেই কারও চোখে পড়বে না। তাছাড়া স্বর্ণের উপর রং করে পিতলের মতো করে ফেলা হয়েছে। এতো ‘অভিনব’ কৌশল করেও বাঁচতে পারলেন না দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশের যাত্রী জাফর আলম।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে তার এই অপচেষ্টা রুখে দেয় এনএসআই টিম ও কাস্টমস কর্মকর্তারা। চ্যালেঞ্জ করলে প্রথমে অস্বীকার করেন জাফর। পরে স্ক্যানিং করলে দেখা যায় ট্রলি ব্যাগের চার দিকের পিতলের কভার তারটি বের করে ওখানে বিশেষভাবে বানানো স্বর্ণের বানানো তার ঢুকিয়ে দেয়।

উক্ত যাত্রীর গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার রোকসানা খাতুন জানান, ওয়্যার হিসেবে আনা দুইটি স্বর্ণের বারের ওজন ২৩৪ গ্রাম। একজন যাত্রী একটি স্বর্ণের বার আনলে বিমানবন্দরে ঘোষণা দিলে ২০ হাজার ১২৩ টাকা শুল্ক কর দিতে হয়। দুইটি স্বর্ণের বারে ৪০ হাজার টাকা ফাঁকি দেওয়ার জন্য যাত্রী অভিনব কৌশলের আশ্রয় নিলেও আমরা তা ব্যর্থ করে দিয়েছি। এ ঘটনায় জরিমানাসহ শুল্ককর আদায়ের প্রক্রিয়া চলছে।
ট্রলি ব্যাগের পাইপভর্তি স্বর্ণ, দুবাই ফেরত যাত্রীর অভিনব কৌশল 1
এদিকে অপর তিন যাত্রী থেকে ৩৩৪ কার্টন সিগারেট জব্দ করা হয়েছে।

শাহ আমানত বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আসা ফ্লাই দুবাইয়ের এফজেড-৫৮৯ ফ্লাইটের যাত্রী ফটিকছড়ির মোহাম্মদ সাহেদুল আলমের কাছ থেকে ১২৪ কার্টন, মো. বখতেয়ার উদ্দিনের কাছ থেকে ৯০ কার্টন, হাটহাজারীর মিয়া আলমের কাছ থেকে ১২০ কার্টন সিগারেট জব্দ করা হয়েছে।

উদ্ধারকৃত সিগারেট ও স্বর্ণের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বলে জানান বিমানবন্দর কাস্টমস শাখা।

এএস/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!