ট্রলারডুবি ঘটনায় এক রোহিঙ্গার খোঁজ মিলল সাতকানিয়ায়, ৫ সন্তানই নিখোঁজ

একই পরিবারের ৫ জনসহ নিখোঁজ ২১

ভাসানচর থেকে আসা ট্রলারটি সাগরে উল্টে যাওয়ার পর স্ত্রী ও সন্তানসহ ডুবে যান আবদুর রহমানও (৩২)। সাগরে তাকে ভাসতে দেখে পাশ দিয়ে যাওয়া একটি মাছের ট্রলারের জেলেরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। সেই ট্রলারটিই পরে সাগর থেকে শঙ্খ নদীতে ফিরে আসার পর তাকে সাতকানিয়ায় নামিয়ে দিয়ে যায়। পরে তিনি কেরানিহাটের এক বাড়িতে আশ্রয় নেন। সাগরে ভাসমান অবস্থায় তার স্ত্রীকে আরেকটি ট্রলার এসে উদ্ধার করে ভাসানচর ফিরিয়ে নিয়ে গেলেও আবদুর রহমানের ৫ সন্তান এখনও নিখোঁজ।

অন্যদিকে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় রোহিঙ্গাবোঝাই ওই ট্রলারডুবির ঘটনায় এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আবুল হাফেজ (১০) নামের শিশুটি ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৫৪ নম্বর ক্লাস্টারের কে-৭ নম্বর কক্ষের বাসিন্দা আমির হামজার ছেলে।

রোববার (১৫ আগস্ট) বিকেলে ভাসানচর থানা পুলিশের কাছে নৌবাহিনী সদস্যরা উদ্ধার হওয়া শিশুর লাশ হস্তান্তর করেন। এর আগে শনিবার রাতে নিখোঁজ আবদুর রহমান (৩৫) নামের ওই রোহিঙ্গাকে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার কেরানীহাট এলাকা থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আরও ২৫ নারী-পুরুষ ও শিশু নিখোঁজ আছেন।

গত শুক্রবার রাতে ভাসানচর থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৪১ জন রোহিঙ্গাবাহী ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরে চট্টগ্রাম ও হাতিয়ার মধ্যবর্তী এলাকায় উল্টে যায়। এ সময় ১৪ জনকে উদ্ধার করেন স্থানীয় জেলেরা। বাকিরা স্রোতের তোড়ে ভেসে যান।

গত শুক্রবার (১৩ আগস্ট) ট্রলারডুবির ঘটনায় উদ্ধার হওয়া আবদুর রহমান (৩২) বলেন, শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে ভাসানচর থেকে ট্রলারে ওঠেন তিনি, তার স্ত্রী ও ৫ সন্তান। পরে রাতে ট্রলারটি ২ ঘণ্টা চলার একপর্যায়ে ঝড়ে সাগরে উল্টে যায়। তখন তিনি তার স্ত্রী ও সন্তানসহ ট্রলারের সবাই সাগরে ডুবে যান।

তিনি আরও জানান, সাগর তাকে ভাসতে দেখে একটি ফিশিং ট্রলারের জেলেরা উদ্ধার করে। এ সময় তার স্ত্রীকে সহ ১১ জনকে উদ্ধার করে আরেকটি ট্রলার ভাসানচরে পৌঁছে দিয়েছে। আর তাকে উদ্ধার করা ট্রলারটি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এলাকার কাছে নামিয়ে দিয়েছে। পরে তিনি কেরানীহাট এলাকার এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নেন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!