টেকনাফে গ্রেপ্তারের পর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ মাদক কারবারি নিহত

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক মামলার আসামিসহ দুই যুবক নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন জিয়াবুল হক প্রকাশ বাবুল (৩০) ও আজিম উল্লাহ (৪৬)।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং সাতঘরিয়া পাড়া সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি ডাবল শুটারগান, দেশীয় তৈরি ৫টি এলজি, ৩৬ রাউন্ড গুলি ও ৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে। পুলিশের দাবি, নিহতরা মাদক কারবারি।

নিহত জিয়াবুল হক উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়ন কাঞ্জরপাড়া এলাকার শামসুল আলমের ছেলে ও আজিম উল্লাহ বাহারছড়া ইউনিয়নের শীলখালী এলাকার কেফায়েত উল্লাহর ছেলে।

এ ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপারসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া-টেকনাফ সার্কেল) নিহাদ আদনান তাইয়ান, উপ-পরিদর্শক সাব্বির আহমেদ, কনস্টেবল রাইসুল ইসলাম আসাদ ও শুক্কুর।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, ‌‘বুধবার বিকালে টেকনাফের হ্নীলাবাজার এলাকা থেকে মাদক ও অস্ত্রসহ ৫ মামলার পলাতক আসামি মাদক কারবারি জিয়াবুল হক ও আজিম উল্লাহকে বাহারছড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে তাদের স্বীকারোক্তি মতে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের একটি দল হোয়াইক্যং ইউনিয়ন সাতঘরিয়া পাড়া সংলগ্ন গহীন পাহাড়ি এলাকায় অস্ত্রধারী মাদক কারবারিদের গোপন আস্তানায় অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার করতে যায়।

সেখানে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গ্রেপ্তার আসামির সহযোগীরা তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে এবং গ্রেপ্তার আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে অত্মরক্ষার্থে পুলিশ সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালান। উভয়পক্ষের গোলাগুলিতে একপর্যায়ে নিহাদ আদনান তাইয়ানসহ পুলিশের চার সদস্য আহত হন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার বাবুল ও তার সহযোগী আজিম উল্লাহকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার হাসপাতালে পাঠান। সেখানে পৌঁছার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!