টেকনাফের দুই ইয়াবা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

অবৈধ সম্পদ অর্জন

অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে কক্সবাজারের টেকনাফ প্রশাসনের তালিকাভূক্ত দুই ইয়াবা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দীর্ঘ অনুসন্ধানে দুইজনের বিরুদ্ধে মোট ১ কোটি ৩৬ লাখ ৯৬ হাজার ৯৪ টাকার জ্ঞাত বর্হিভূত সম্পদের খোঁজ পায় দুদক।

মঙ্গলবার (১০ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক হুমায়ুন কবীর বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ দফতরে পৃথক এই দুইটি মামলা দায়ের করেন।

আসামিরা হলেন- কক্সবাজারের টেকনাফ থানার নাজির পাড়ার মোজাহের মিয়ার পুত্র এনামুল হক। অপরজন কক্সবাজারের টেকনাফ থানার হাতিয়ার ঘোনা এলাকার আবুল বশরের পুত্র মো. আব্দুল্লাহ। পুলিশ ও র্যা বের তালিকায় টেকনাফ এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী তারা।

দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৩ জুন এনামুল হকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১৭ সালের ৯ জুলাইয়ে তার সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অনুসন্ধানে এনামুল হকের বিরুদ্ধে ৩৬ লাখ ৭৩ হাজার ২৯ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের খোঁজ পাওয়া যায়। ২০১৯ সালের ২৫ মার্চ তার বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী ফরম ইস্যু করা হয়। ২০১৯ সালের ৭ মে দুদকের কনস্টেবল মো. ফারুক উদ্দিনের মাধ্যমে কক্সবাজার কারাগারে ফরম প্রেরণ করা হলে সেখানে ফরমটি গ্রহণ করেন এনামুল হক। ২০১৯ সালের ৯ মে দুদক কয়েকবার সময় দেওয়ার পর সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় এনামুল হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

এদিকে ২০১৭ সালের ১৩ জুন মো. আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে ১ কোটি ২৩ হাজার ৬৫ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের খোঁজ পাওয়া যায়। ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী ফরম ইস্যু করা হয়। ২৫ এপ্রিল কক্সবাজার কারাগারে দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে জারিকৃত সম্পদ বিবরণী প্রেরণ করেন দুদকের কনস্টেবল মো. ফারুক উদ্দিন। ২০১৯ সালের ২৫ মে দুদকের নির্ধারিত সময়ে সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় মো. আব্দুল্লাহসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর এক কর্মকর্তা বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে সম্পদ বিবরণী ফরম দাখিল না করায় তার বিরুদ্ধে নন সাবমিশন পৃথকভাবে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পৃথক অনুসন্ধানে দুইজনসহ তাদের পরিচিতদের বিরুদ্ধে মোট ১ কোটি ৩৬ লাখ ৯৬ হাজার ৯৪ টাকার জ্ঞাত বর্হিভূত সম্পদের খোঁজ পায় দুদক। তদন্তকালে এ বিষয়ে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। বর্তমানে দুইজনই কক্সবাজার কারাগারে রয়েছেন।

মুআ/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!