টি-টোয়েন্টিতে হারের বৃত্তে পাকিস্তান

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আইসিসির র‌্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে এক নম্বর পজিশনে। কিন্তু যে হারে পাকিস্তান ম্যাচ হারা শুরু করেছে তাতে করে অচিরেই নিজেদের শীর্ষস্থান খোয়াতে হবে। প্রথমে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার কাছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই হওয়া দিয়ে শুরু। হারতে পারতো অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও। তবে সেদিন পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে নিশ্চিত পরাজয়ের হাত থেকে উদ্ধার করেছিল বৃষ্টি। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে আর বাঁচতে পারেনি বাবর আজমের দল, হেরে গিয়েছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে।

পাকিস্তান যেমন নিজেদের সবশেষ সিরিজটি খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, তেমনি অসিদেরও সবশেষ টি-টোয়েন্টি প্রতিপক্ষ ছিলো লঙ্কানরাই। তবে বৈসাদৃশ্য ছিলো, পাকিস্তান যেখানে ঘরের মাঠে হয়েছিল হোয়াইটওয়াশ, সেখানে শ্রীলঙ্কাকে তিন ম্যাচেই উড়িয়ে দিয়েছিল অসিরা। এবার সে ধারাবাহিকতা তারা বজায় রাখল পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজেও।

লঙ্কানদের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ জয়ে বড় ভূমিকা ছিলো ডেভিড ওয়ার্নারের। এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে সে দায়িত্ব তুলে নিলেন স্টিভেন স্মিথ। বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পাননি। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে খেলেছেন ৮০ রানের অপরাজিত ইনিংস, দলকে জিতিয়েছেন, নিজে পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরষ্কার।

টি-টোয়েন্টিতে হারের বৃত্তে পাকিস্তান 1
রান আউট থেকে বাঁচতে গিয়ে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বাবর আজম ভূপাতিত। ব্যাট হাতে নিজে রান পেলেও অস্ট্রেলিয়ার কাছে ম্যাচ হেরে যায় তারা।

মঙ্গলবার ক্যানবেরায় আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান করতে পেরেছিল পাকিস্তান। অধিনায়ক বাবর আজম ৩৮ বলে ৫০ ও লোয়ার অর্ডারে ইফতিখার আহমেদ ৩৪ বলে করেন ঝড়ো ৬২ রান। বাকিরা তেমন কিছু করতে না পারায় বড় হয়নি দলীয় সংগ্রহটা। যা চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি ফর্মে থাকা অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিং লাইনআপকে।

১৫১ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লে’তেই সাজঘরে ফিরে যান দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ (১৭) ও ডেভিড ওয়ার্নার (২০)। তৃতীয় উইকেটে ৫৮ রানের জুটি গড়েন স্মিথ ও ম্যাকডেরমট। যাতে ম্যাকডেরমটের অবদান ছিলো মাত্র ২১ রান।

পুরো একক আধিপত্য বিস্তার করে খেলেন স্মিথ। অ্যাশটন অ্যাগারের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৪৫ রানের জুটিতে স্মিথই করেন সিংহভাগ রান। অ্যাগারের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৬ রান। অন্যদিকে স্মিথ অপরাজিত থাকেন ১১ চার ও ১ ছক্কার মারে ৮০ রানের ইনিংস খেলে।

বৃষ্টিতে প্রথম ম্যাচ বাতিল হওয়ায় ২ ম্যাচ শেষে এখন ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। সিরিজ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আগামী শুক্রবার পার্থে খেলতে নামবে অস্ট্রেলিয়া।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!