টানা দশ মাসেই রাজস্বে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ চট্টগ্রাম কাস্টম!

পরপর দশমাস চলতি (২০১৮-১৯ অর্থ-বছর)রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ।গত কয়েক মাসের ধারাবাহিকতায় এই এপ্রিলেও রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি সংস্থাটি।

জানা গেছে, এপ্রিল মাসে চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ৫৫৫ কোটি ২২ লাখ টাকা।এর বিপরীতে রাজস্ব আহরণ হয় ৪ হাজার ২৯২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ২৬২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বা ২২ দশমিক ৭৩ শতাংশ কম। আর এপ্রিলে রাজস্ব আহরণ প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থ বছরের (২০১৮-১৯) জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ৪৭ হাজার ৫১২ কোটি ৪২ লাখ টাকা।এর বিপরীতে সংস্থাটি দশ মাসে রাজস্ব আদায় করে ৩৬ হাজার ৭১১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।এটি নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে ১০ হাজার ৮০০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বা ২২ দশমিক ৭৩ শতাংশ কম। তবে দশমাস শেষে গত অর্থ-বছরের একই সময়ের চেয়ে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়,২০১৮-১৯ অর্থ-বছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ৪ হাজার ৩৭৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছিল ৩ হাজার ৩১১ কোটি ৯৩ টাকা। আগস্টে ৪ হাজার ৬৫৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয় ৩ হাজার ৪৬০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বরে ৩ হাজার ৯০৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকার বিপরীতে আদায় হয় ৩ হাজার ৬৭১ কোটি ২২ লাখ টাকা। অক্টোবরে ৪ হাজার ৭১৯ কোটি ৬০ লাখ টাকার বিপরীতে আদায় হয় তিন হাজার ৭৪২ কোটি ৭২ লাখ টাকা।নভেম্বরে পাঁচ হাজার ৩০১ কোটি ৬৮ লাখ টাকার বিপরীতে আদায় হয় ৩ হাজার ৮১১ কোটি ৭ লাখ টাকা।ডিসেম্বরে ৪ হাজার ৭৬৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকার বিপরীতে আদায় হয় ৩ হাজার ৩৬০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। জানুয়ারিতে ৫ হাজার ১২ কোটি টাকার বিপরীতে আদায় হয় ৪ হাজার ১৬৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। ফেব্রুয়ারিতে ৪ হাজার ৩৪০ কোটি ৫৮ লাখ টাকার বিপরীতে আদায় হয় ৩ হাজার ৩৫২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। মার্চে ৪ হাজার ৮৮০ কোটি ৬২ লাখ টাকার বিপরীতে আদায় হয় ৩ হাজার ৫৪৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।এপ্রিলে ৫ হাজার ৫৫৫ কোটি ২২ লাখ টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৪ হাজার ২৯২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

বিভিন্ন কারণে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয় না বলে জানিয়ে এ বিষয়ে আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের কমিশনার কাজী মোস্তাফিজুর রহমান।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়,‘গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নভেম্বর-ডিসেম্বরে দেশে আমদানি-রফতানির পরিমাণ অনেক ছিল। ফলে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় রাজস্ব আদায়ও কম হয়েছে।তবে অন্যান্য মাসে তুলনামূলক ভালো রাজস্ব আদায় করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে গত দশ মাসের মধ্যে এপ্রিলে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে।’

এমএ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!