টানা তিনদিনের ছুটির ফাঁদে পড়েছে দেশ। এতে করে পর্যটকের ঢল নেমেছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত শহর কক্সবাজারে। ছুটি শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পর্যটকে মুখরিত হয়ে উঠেছে সমুদ্র সৈকতসহ দর্শনীয় স্থানগুলো। হোটেল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউসের সকল রুম বুকিং হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক পর্যটককে লাগেজ হাতে কলাতলী এলাকায় ঘুরাফেরা করতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। সঙ্গে রোববার (২৫ ডিসেম্বর) যোগ হয়েছে শুভ বড়দিনের ছুটি। সব মিলিয়ে তিনদিনের টানা ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে কক্সবাজারে। টানা ছুটিতে ভ্রমণপিপাসুদের ভালো সাড়া পেয়েছেন কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ব্যাবসায়ীরা। আর তাদের নিরাপত্তায় কাজ করছে টুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসকের বিচকর্মীরা।
কয়েকটি হোটেল ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ হোটেল পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। কক্ষ পেতে ব্যাগপত্র নিয়ে এক হোটেল থেকে অন্য হোটেলে ছোটাছুটি করতেও দেখা যায় বেশকিছু পর্যটককে।
অন্যদিকে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে দেখা গেছে হাজারো পর্যটকের ভিড়। কেউ বালিয়ারিতে দৌঁড়ঝাপ, কেউ সমুদ্রস্নানে ব্যস্ত। যে যার মতো করে আনন্দে মেতেছেন। পর্যটন মৌসুমে বিনোদনপ্রেমীদের চাপ বাড়ায় প্রতিটি স্পটে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে টুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসকের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট।
শুধু কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত নয়, পর্যটকরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, পাথুরে সৈকত ইনানী, হিমছড়ি ও রামু বৌদ্ধ মন্দির, মহেশখালী আদিনাথ মন্দিরেও।
ঢাকা থেকে আগত পর্যটক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরীক্ষা শেষে নিরিবিলি প্রকৃতির সঙ্গে সময় পার করতে কক্সবাজার চলে আসছি। রুম পেতে একটু কষ্ট হয়েছে। তবে সমুদ্রে এসে গোসল করতে পেরে সব কষ্ট ভুলে গেছি।’
নারায়ণগঞ্জ থেকে সপরিবার আগত পর্যটক মো. সাজিদুল ইসলাম বলেন, ‘বছর শেষে ছুটি কাটাতে কক্সবাজার এসেছি। আসার সময় রুম বুকিং দেওয়া হয়নি। এখানে এসে রুম না পেয়ে একটু কষ্ট হচ্ছে।’
পর্যটন ব্যবসায়ী আবদুর রহমান বলেন, ‘ডিসেম্বরে আমাদের পর্যটন মৌসুম শুরু হলেও প্রথম দিকে পর্যটকের তেমন সাড়া পাইনি আমরা। বৃহস্পতিবার থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। এতে আমরা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবো।’
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার বলেন, ‘টানা তিনদিনের ছুটিতে কয়েক লাখ পর্যটকের সমাগম হতে পারে। তাই আমাদের ট্যুরিস্ট পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা সবসময়ই সজাগ আছি।’
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটক সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তায় সবসময় মাঠে আছি। খাবার থেকে শুরু করে সবকিছু দাম নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
ডিজে