টাকা মেরে দিতে কাট্টলী টেক্সটাইলের অভিনব জালিয়াতি

এমডিসহ ৫ পরিচালককে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা

শেয়ারবাজার থেকে আইপিওর মাধ্যমে টাকা তুলে, সেই টাকার সঠিক ব্যবহার না করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় কাট্টলী টেক্সটাইল মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালকদের তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি তদন্ত করে দেখতে পায়, কাট্টলী টেক্সটাইল মিলস টাকা খরচ তো করেইনি, বরং তারা মিথ্যা তথ্য দিয়েছে এবং জাল দলিল তৈরি করে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তাদের নিয়মিত কমিশন সভায় জরিমানার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কাট্টলী টেক্সটাইল মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ১ কোটি টাকা এবং স্বাধীন পরিচালক বাদে অন্য পরিচালকদের ৫০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

কাট্টলী টেক্সটাইলের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হচ্ছেন এমদাদুল হক চৌধুরী। তিনি চট্টগ্রামভিত্তিক লাকি গ্রুপেরও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এছাড়া পরিচালক হিসেবে আছেন আনোয়ারুল হক চৌধুরী, মোকাররম আনোয়ার চৌধুরী, ওয়াদুদা সাবরিনা, সিফাত সাবরিনা। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন নাসরিন হক।

চট্টগ্রামের উত্তর কাট্টলীর কর্নেল জোন্স সড়কে কাট্টলী টেক্সটাইল লিমিটেডের অবস্থান। এর কর্পোরেট অফিস আগ্রাবাদের শেখ মুজিব রোডের বিএম হাইটসে। প্রতিষ্ঠানটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০১৮ সালে। আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে তারা মোট ৩৪ কোটি টাকা তুলেছিল।

তারা জানিয়েছিল, ৩৪ কোটি টাকার মধ্যে ৫১ শতাংশ টাকা খরচ করবে নতুন কারখানা ভবনের জন্য, ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ টাকা খরচ করবে কর্মীদের ডরমিটরি তৈরির জন্য, ২৬ দশমিক ৪১ শতাংশ টাকা খরচ করবে নতুন যন্ত্রপাতি কেনার জন্য এবং বাকি টাকা খরচ করবে ব্যাংক ঋণ ফেরত দিতে।

২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল কাট্টলী টেক্সটাইলের দেওয়া একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তারা ৭ কোটি ৬২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা ৬৪৫ টাকা খরচ করেছে। আর ২৬ কোটি ৩৭ লাখ ২১ হাজার ৩২৫ টাকা খরচ করতে পারেনি।

কিন্তু পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি তদন্ত করে দেখতে পায়, কাট্টলী টেক্সটাইল মিলস টাকা খরচ তো করেইনি, বরং তারা মিথ্যা তথ্য দিয়েছে এবং জাল দলিল তৈরি করে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে দিয়েছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!