টাকা মেরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পেলেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী

চট্টগ্রামে ৪০ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২ মে) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দে-এর আদালত এই পরোয়ানা ইস্যু করেন। প্রতারণার ঘটনা সেলিমের বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা চট্টগ্রাম আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সেলিম এমএস সাগরিকা স্টিলের স্বত্বাধিকারী। তিনি নগরের আকবর শাহ থানার কৈবল্যধাম হাউজিং এস্টেটের বাসিন্দা।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাবিব উল্লাহ বায়েজিদ বলেন, পাওনাদারদের অর্থ নগদে ফেরত না দিয়ে চেক দেন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সেলিম। কিন্তু ব্যাংক হিসাবে টাকা না থাকায় চেক ডিজঅনার হয়। তারপর তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলায় সেলিমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করে আদালত।

অভিযুক্ত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সেলিমকে ফোন করলেও ফোন ধরেননি।

আদালত সুত্রে জানা গেছে, পাওনা অর্থ ফেরত দিতে ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর ব্যবসায়ী সেলিম একটি ১০ লাখ টাকার চেক দেন পাওনাদার একে শওকত আলী। চেকটি নিয়ে ২২ ডিসেম্বর সেলিম থেকে একে শওকত আলী নগরের কোতোয়ালী এবি ব্যাংক লিমিটেডের স্টেশন রোড শাখায় যান। কিন্তু ব্যাংক একাউন্টে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় চেকটি ডিজঅনার হয়। তারপর পাওনা অর্থ ফেরত দিতে ব্যবসায়ীকে আইনি নোটিশ দেন শওকত। তারপরও অর্থ ফেরত দেননি তিনি।

এরপর ১০ লাখ টাকা আদায়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চেক প্রতারণার মামলা করেন। সেই মামলায় আসামি সেলিমকে আদালতে হাজির হতে সমন দিলেও তিনি হাজির হননি। তারপরই আদালত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেন।

একইভাবে একে শওকত আলী পৃথক আরেকটি ১০ লাখ টাকা আদায়ে সেলিমের বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার অপর একটি মামলা করেন আদালতে। এছাড়া ফেনী সদরের ধনিয়া পাড়ার আতাউল হক মিয়া বাড়ির বাসিন্দা মো. আশরাফুল হকও ১০ লাখ টাকা আদায়ে এবং নগরের সিএনবি কলোনী এলাকার বাসিন্দা শেখ মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে ১০ লাখ টাকা আদায়ে সেলিমের বিরুদ্ধে দুটি চেক প্রতারণা মামলা করেন। চারটি মামলাই চট্টগ্রাম আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm