মাসের পর মাস ধরে চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে আছে অনুদানে পাওয়া ৭৭ কোটি টাকা মূল্যমানের চিকিৎসা সরঞ্জামসহ বিভিন্ন সামগ্রী। এভাবে হেলাফেলায় পড়ে থাকায় সরঞ্জামগুলো বর্তমানে নষ্ট হওয়ার পথে।
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় উন্নয়ন সহযোগীদের দেওয়া এসব সামগ্রী খালাস করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে শুল্ক হিসেবে টাকা চায় কাস্টমস। মূলত এই টাকার জন্যই মূল্যবান স্বাস্থ্য সরঞ্জামসহ বিভিন্ন সামগ্রী চট্টগ্রাম বন্দরেই পড়ে আছে।
এমন অবস্থায় কাস্টমসের দাবি করা শুল্ক পরিশোধের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বিষয়টি জানানো হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ছাড়াও এনবিআর চেয়ারম্যানকে। নির্ধারিত কিছু খাত ছাড়া সব পণ্যেই শুল্ককর পরিশোধ করা বাধ্যতামূলক।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চিকিৎসা সরঞ্জামগুলোর শুল্ক পরিশোধের জন্য কাস্টমস চেয়েছে ২২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। কিন্তু এজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ১০ গুণেরও বেশি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি টাকা চাওয়া হয়েছে বলে মনে করছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য, ২০২১-২২ অর্থবছরে কেনা সামগ্রীও শীঘ্রই চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে। ওইসব সামগ্রীও দ্রুত খালাস করতেই একসঙ্গে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরে ৭৭ কোটি টাকার যেসব চিকিৎসা সরঞ্জাম পড়ে আছে, সেগুলো জাপান সরকারের দেওয়া। মোট ৩১৩টি সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে সরকারি হাসপাতালের জন্য এক্সরে যন্ত্র, সিটি স্ক্যানার, ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাফি বা ইসিজি যন্ত্র, ব্লাড গ্যাস অ্যানালাইজার, অক্সিজেন জেনারেটর ও রোগীর স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মনিটর। এছাড়া রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স ও ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক।
এসব চিকিৎসা সরঞ্জাম চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে আছে অন্তত পাঁচ মাস ধরে।