কক্সবাজারের চকরিয়ায় টমটম চুরির অপবাদ দিয়ে মোহাম্মদ ওমর সানি ওরফে জিশান (২৫) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় জড়িত আছে কিনা, জিজ্ঞাসাবাদ করতে মহিউদ্দিন নামের আরেক যুবককে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের কুতুবনগর পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জিশান ওই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কুতুবদিয়া পাড়ার মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের ছেলে। নিহত যুবক জিশান দেড় বছর বয়সি এক কন্যা সন্তানের জনক ও টমটম চালক।
জিশানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী।
ওসি বলেন, ‘বদরখালীর কয়েকজন ব্যক্তি ফোনে জানিয়েছেন, টমটম চুরির অপবাদে চালক জিশানকে হত্যা করা হয়েছে। তবে সঠিক বিষয়টি জানা যাবে তদন্তের পর।’
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্মরত চিকিৎসক ডা. আবু জাফর মোহাম্মদ সাদেক জানান, বদরখালী থেকে আহত জিশানকে রুবেল নামের এক ব্যক্তি মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১টার দিকে হাসপাতালে এনে ভর্তি করায়। ওইসময় জিশান অজ্ঞান ছিল।
হাসপাতালে এসে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছেন চকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার প্রামাণিক। তিনি বলেন, বেলা আড়াইটার দিকে ঘটনা শুনে হাসপাতালে এসে বিভিন্নজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করি। এসময় মরদেহের শরীরের দৃশ্যমান কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মরদেহ হাসপাতালে ছিল।
এদিকে নিহতের মামা মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, সোমবার সন্ধ্যায় রুবেল ও রিয়াদ নামের দু’জনসহ আমার ভাগিনা জিশান তার বড় খালা রহিমা বেগমের শ্বশুর বাড়ি কক্সবাজার সড়কের লিং রোড় এলাকায় যায়। সেখান থেকে তারা রাতে ওই টমটম নিয়ে চকরিয়ায় ফিরছিল। রাত ১১টায় খালাতো ভাই মোহাম্মদ মোজাহেদ ফোন করে জিশান থেকে জানতে পারে, তারা চকরিয়ার ডুলহাজারায় পৌঁছেছে।
তিনি আরও জানান, বদরখালীর কুতুবদিয়া পাড়া লাগোয়া কুতুবনগর পাড়ায় মঙ্গলবার ভোরের কোনো একসময় জিশানকে কৌশলে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। সে অজ্ঞান হলে রুবেল ও তার দলবল বিভিন্নভাবে তার জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। বেলা সোয়া ২টার দিকে হাসপাতালে মারা যায় জিশান।
ডিজে