জয়দেবকে লাইফ সাপোর্টে পাঠিয়ে সেই গর্ত ভরাট করলো ওয়াসা
চট্টগ্রাম কলেজ রোডে মোটরসাইকেলসহ ওয়াসার গর্তে পড়ে পেটের নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যাওয়া জয়দেব চক্রবর্তীর চিকিৎসা চলছে নগরীর ম্যাক্স হসপিটালের আইসিইউতে। চিকিৎসকদের বরাতে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন এখনও শঙ্কামুক্ত নন জয়দেব। দুর্ঘটনার পর ওই গর্তটি ভরাটে উদ্যোগী হয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা।
জয়দেব চক্রবর্তীর জেঠাতো ভাই অনিক চক্রবর্তী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমার দাদা এখনও আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে আছেন। তার অবস্থা কিছুটা উন্নতি ঘটলেও চিকিৎসকরা এখনও শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন।’
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে কলেজ রোড ঘুরে দেখা যায়, দেবপাহাড় ও পার্সিভেল হিলের মাঝামাঝি দুর্ঘটনার স্থানটি ভরাট করে দিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। গর্ত ভরাট করে টপস্ল্যাব স্থাপন করে চারপাশ ঘেরাও করে দেওয়া হয়েছে।
পথচারী জসিম উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ওয়াসার গর্তটা একদিন আগে ভরাট করলে তরতাজা ছেলেটা দুর্ঘটনার শিকার হতো না। মানুষের জীবনের মূল্য নেই। থাকলে আমরা আরও দায়িত্বশীল হতাম।’
ওয়াসার প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘প্রকল্পের পাইপ লাইন বসানোর কাজ শেষ। এখন শুধু সংযোগ স্থাপনের কাজ চলছে। কলেজ রোডেও সংযোগ স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। তাই টপস্ল্যাব বসিয়ে তা শুকানোর জন্য ঘেরাও দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনা না ঘটলেও বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) টপস্ল্যাব স্থাপন করা হতো।’
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনায় আহত জয়দেব চক্রবর্ত্তীকে দেখতে ওয়াসার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হসপিটালে গিয়েছেন। তার পরিবারের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছেন এবং চিকিৎসায় সহায়তাও করছেন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চকবাজার থেকে গণি বেকারির দিকে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলসহ গর্তে পড়ে নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায় জয়দেব চক্রবর্তীর। তিনি বোয়ালখালীর রতন চক্রবর্তীর একমাত্র ছেলে। জয়দেব একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে কোম্পানিতে কর্মরত।
এফএম/এসএ